ঘরবন্দি জীবন। তাই অনলাইন কেনাকাটাই এখন ট্রেন্ড। এক ক্লিকেই অর্ডার আর এক সপ্তাহেই ডেলিভারি। বেশ মজার তাই না বলুন? কিন্তু রাজ্যের যে ছোট ব্যবসায়িরা ফুটপাথের উপর কিনবা রাস্তার ধারে কোন মতে জায়গা বাঁচিয়ে দোকান করেছে, তাদের কি হাল হচ্ছে ভেবে দেখেছেন কি? অনলাইন কেনাকাটার দাপটে কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে ছোটো ব্যবসা।

সামনে পুজো। তাই এক বুক প্রত্যাশা নিয়ে সকাল থেকে রাত নাওয়া- খাওয়া ভুলে দোকান খোলেন তারা। যদি দেখা মেলে একটা খদ্দেরের। বিক্রি-বাট্টা তো দূর সারাদিনে বউনি পর্যন্ত করতে পারছেন না তারা।

অনলাইন কেনাকাটায় যে ডিসকাউন্ট মেলে তা দিতে পারবে না রাস্তার ধারের এই ছোট ব্যবসায়ীরা। ব্যবসার অবস্থা বেশ খারাপ। দেয়ালে পিঠ ঠেকেছে ছোটো ব্যবসায়ীদের। জিনিসপত্রের দাম বাড়লেও, দাম দিচ্ছে না কাস্টমার। কতটা নিরাশা বুকে চেপে কথাগুলো বললেন বিক্রেতা প্রদীপবাবু, শুনুন একবার।

চার মাস ধরে বন্ধ জামাকাপড়ের পাইকারি হাট। তার উপর রয়েছে জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধি। তাই আগের মত বেচাকেনা নেই তাদের। পরিস্থিতির শিকার হয়ে এমন ভাবেই ভেঙ্গে পরেছেন যে সরকারের কাছে আবেদনটুকু পর্যন্ত করতে পারেননি বিক্রেতা মিতা দেবী।

চেনা বাজারের গমগমে ছবিটা আজ শুধুই ইতিহাস। দোকান রয়েছে, নেই ক্রেতা।রয়েছে অদ্ভুত শুন্যতা আর অনেকটা হতাশা। ই-কমার্স সাইটের দৌরাত্ম্য মরণ কামড় বসিয়েছে স্থানীয় ব্যাবসায়। পরিস্থিতি কি আদৌ বদলাবে? দুচোখে অপেক্ষা নিয়ে দিন গুনছেন স্থানীয় ছোটো ব্যবসায়ীরা।

বিক্রম লাহা, উত্তর ২৪ পরগনা