Trending

বিদ্যুৎ এবং পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধির জেরে যখন গোটা বিশ্বের অবস্থা তথৈবচ। ঠিক তখনই বিকল্প উপায় বাতলেছে অপ্রচলিত শক্তি ভান্ডার। সহজ ভাষায় বললে, সৌরবিদ্যুৎ প্রকল্প। বড়ো বড়ো অফিস কাছারি, ইউনিভার্সিটি, কিংবা কমপ্লেক্সের ছাদে তো সোলার প্যানেল বসানো দেখেছেন। ভাসমান সোলার প্যানেল দেখেছেন কি? এমনই এক অদ্ভুত প্রকল্প গড়ে নজির গড়লো সিঙ্গাপুর।
৪৫ হেক্টর জায়গায় ১ লাখ ২২ হাজার সোলার প্যানেল বসিয়ে রেকর্ড গড়লো বিশ্বের অন্যতম বড় সৌর বিদ্যুত্ প্রকল্প। আর এখন থেকে যে পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়, তা দিয়ে নাকি পাঁচটি জল শোধনাগার চালানো সম্ভব। তারা জানিয়েছে, এই প্রকল্প বাস্তবায়নের ফলে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই ফ্লোটিং প্যানেল থেকে বিদ্যুৎ পাওয়া সম্ভব। এই প্যানেলের রক্ষণাবেক্ষণ করবে ড্রোন। অর্থাৎ ড্রোনের সাহায্যে এই গোটা পরিসরের নজরদারি চালাবে সিঙ্গাপুরের প্রতিষ্ঠান সেম্বকর্প। সংস্থাটির দাবি, ভাসমান এই সোলার প্যানেল নাকি প্রচলিত ছাদের ওপরে রাখা সৌরপ্যানেলের তুলনায় ৫ থেকে ১৫ গুণ বেশি কার্যকর। কারণ, জলাভূমি ঠান্ডা করার কাজ করে এবং বড়ো বড় হাইরাইজ বা বাড়ির কোনো ছায়া এর ওপর প্রভাব ফেলে না। ফলে গরম হয়ে যাওয়া সোলার প্যানেল গুলোকে পর্যাপ্ত শীতলতাও দিতে পারে এই জলাভূমি।
জলবায়ু পরিবর্তনের চোখ রাঙ্গানিতে সমুদ্রপৃষ্ঠের জল আজ বিপদসীমায়। খাদের ধারে দাঁড়িয়ে রয়েছে সিঙ্গাপুর। তাই মূলত স্থান সংকুলানের কারণে ভাসমান সৌরবিদ্যুত্ প্যানেল স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয় সিঙ্গাপুর সরকার। আর এর ফলে ক্ষতিকর কার্বন নিঃসরণের পরিমাণও বেশ খানিকটা কমবে। বজায় থাকবে পরিবেশের ভারসম্য। প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, এই সৌরবিদ্যুত্ প্রতিষ্ঠানটি প্রতিবছর ৩২ কিলো টন কার্বন নির্গমন কমাতে সক্ষম। আর এমন এক অত্যাধুনিক ভাবনা ভেবে, এখন বিশ্বকে কার্যত তাক লাগিয়ে দিয়েছে সিঙ্গাপুর।
ব্যুরো রিপোর্ট