Trending
শিলিগুড়িতে পানীয় জলের হাহাকার চরমে। পুরসভার জল হয়ে উঠেছে পানের অযোগ্য। ফলে পানীয় জলের সঙ্কট ক্রমশ তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। জলের মান খারাপ ধরা পড়ার পর পুরসভার তরফ থেকে নির্দেশ দেওয়া হয় পান না করার জন্য। বিকল্প হিসেবে দেওয়া হয় জলের পাউচ। কিন্তু সিন্ধুর পরিবর্তে বিন্দু বিন্দু পাউচ কি শিলিগুড়ির তেষ্টা মেটাতে পারে? হয় নি সেটাও। ২৬টা পানীয় জলের ট্যাঙ্ক পাঠানোর কথা বলেন মেয়র গৌতম দেব। কিন্তু এতো কিছুর পরেও গৌতম দেব তেষ্টা মেটাতে পারলেন না। তারপরেই বুধবার থেকে শুরু হয়ে যায় জলের জন্য হাহাকার। স্থানীয় মানুষদের মনে ক্ষোভ ফেটে পড়ে। কারণ দিনের শেষে সেটা পানীয় জল। লম্বা লাইন দিতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে।
এদিকে বুধবার শিলিগুড়িতে পানীয় জলের হাহাকার চরমে উঠতেই পথে নামেন বাম সমর্থকরা। সিপিএম এবং এসইউসিআই বিক্ষোভ দেখায় শিলিগুড়ি পুরসভায়। সেই বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিলেন প্রাক্তন মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। তিনি কার্যত ক্ষোভ দেখাতে গিয়ে বলেন, মানুষকে বিষাক্ত জল পান করানো হচ্ছে। এটা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করার বিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বর্তমান মেয়র গৌতম দেবের গাড়ি আটকে দেওয়া হয়। চোর চোর স্লোগান ওঠে। পরিস্থিতি এতটাই ঘোরালো হয় যে এলাকা ছাড়তে কার্যত বাধ্য হন মেয়র এবং ডেপুটি মেয়র।
শিলিগুড়ির বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ঘোষ গৌতম দেবকেই সরাসরি অদক্ষ বলছেন। এদিকে গৌতম দেব বলছেন, এটা এমারজেন্সি সিচুয়েশন। জল নিয়ে অকারণ রাজনীতি করা হচ্ছে।
শিলিগুড়ির সাধারণ মানুষের কাছে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া হয় তিস্তার জলকে পরিস্রুত করে। কিন্তু গত হড়পা বানে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাঁধ। বর্ষার আগে মেরামতির কাজ শুরু হলেও তিস্তার জল বন্ধ রাখা হচ্ছে। পরিবর্তে মহানন্দার জল পরিস্রুত করে দেখা যায় সেই জলে বিওডির মাত্রা বেশি। তারপরেই সেই জল খেটে নিষেধ করেন মেয়র গৌতম দেব। কিন্তু পরিস্থিতি উল্টে আরও জটিল হয়ে যায়। জানা যাচ্ছে, আগামী ২ জুনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে পারে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ