Market
কয়লা বা লোহার জন্য বিখ্যাত পশ্চিমবঙ্গের রাণীগঞ্জ, আসানসোলের মতন এলাকা। কিন্তু এখানেই রয়েছে আরও এক প্রাকৃতিক সম্পদ। যা গোটা রাজ্যের অর্থনীতিকে ভালোরকম এগিয়ে দেবে। একইসঙ্গে কর্মসংস্থানও হবে বিপুল। সেটা হচ্ছে শেল গ্যাস। কী এই শেল গ্যাস, সেটা তো বলবই। তার সঙ্গে বলব, কিভাবে এই রাজ্যের অর্থনীতির চাকা আরও ভালোভাবে ঘোরাতে পারবে শেল গ্যাস, বলব সেটাও।
সম্প্রতি গ্রেট ইস্টার্ন এনার্জি কর্পোরেশনের সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছে রাজ্য সরকার। এই চুক্তি মারফৎ চলবে শেল গ্যাস অনুসন্ধান এবং শেল গ্যাস মাইনিংয়ের কাজ। রাণীগঞ্জে যে কোল ব্লকগুলো রয়েছে, সেখানেই মাইনিং চালানোর পারমিশন দিয়েছে রাজ্য সরকার। এছাড়াও আগামী সপ্তাহে রাজ্য সরকারের সঙ্গে চুক্তি করবে আরেকটি কোম্পানি। তার নাম এসার গ্রুপ। দুর্গাপুর রিজিওনে এসার গ্রুপ চালাবে শেল গ্যাস খোঁজার কাজ। আর এই দুটো প্রোজেক্টের মাধ্যমে বিনিয়োগ হতে চলেছে ২২ হাজার কোটি টাকা। সঙ্গে কর্মসংস্থান হতে চলেছে সব মিলিয়ে ৫ হাজারের মতন। এছাড়াও পরোক্ষভাবে একটি এলাকায় ইন্ডাস্ট্রি তৈরি হলে তাক ঘিরেই আরও ভালো রকম কর্মসংস্থানের পথ তৈরি হয়ে যায়। সাধারণত শেল গ্যাস থাকে মাটি থেকে অনেকটা নিচে। মাটির নিচে যে পাথর রয়েছে, সেখান পর্যন্ত প্রথমে ড্রিল করা হবে। তারপর ফাটানো হবে পাথর। পাথরের ফাঁকে ফাঁকে যে গ্যাস রয়েছে, কালেক্ট করা হবে সেই গ্যাস। মুম্বইতে বহু গাড়ি গ্যাসে চলার প্রধান কারণ আমরা সমুদ্রের নিচ থেকে বা মাটির নিচ থেকে প্রচুর পরিমাণ গ্যাস সংগ্রহ করতে পেরেছি। কিন্তু ভাগ্য বদলানোর সময় এসেছে এবার বাংলারও। মনে করা হচ্ছে, ৬.৬৩ ট্রিলিয়ন কিউবিক ফিটের শেল গ্যাস খনন করা সম্ভব হবে। আর এই গোটা কর্মকাণ্ডটা যদি ঠিকঠাকভাবে কমপ্লিট হয়, তাহলে বাংলার আর্থিক বৃদ্ধি অনেকটাই মসৃণ হয়ে যাবে। আপনার কি মনে হয়? শেল গ্যাস কি সত্যিই রাজ্যের ইকোনমিকে অনেকটা বুস্ট করবে? জানান, কমেন্ট বক্সে। সঙ্গে দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ।