Trending
থেমে নেই সন্দেশখালি চর্চা। ইডি একের পর এক চার্জশিট পেশ করছে। আর সেই চার্জশিট থেকে বেরোচ্ছে খতরনাক সব তথ্য। সম্প্রতি আরও এক চার্জশিট সামনে এনেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি। আর সেখান থেকে যে তথ্য সামনে এসেছে, তা জানলে হয়তো ব্যোমকে যেতে পারেন আপনিও।
শেখ শাহজাহানের জমি দুর্নীতির টাকা নাকি যেত তৃণমূলের পার্টি ফাণ্ডে! চার্জশিটে বিস্ফোরক দাবি ইডির। শাহজাহান ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের বয়ান থেকেই এই ক্লু পেয়ছে তদন্তকারি সংস্থার কর্মকর্তারা। প্রায় ১৯৮ কোটি ৫২ লক্ষ টাকার ঘাপলা রয়েছে বলে দাবি ইডির। ইডি আরও জানিয়ছে যে, শাহজাহান আর শিবু হাজরাকে জেরা করে জানা গিয়েছে, ২০১৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত জমি দখলের টাকা গিয়েছে পার্টি ফান্ডে। গোটা ঘটনায় যোগ রয়েছে শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আরও ৫ জনের। যারা শাহজাহানকে কালো টাকা সাদা করতে সাহায্য করেছিল।
সুন্দরবনের প্রত্যন্ত অঞ্চল সন্দেশখালি। মূলত মাছের ভেড়ি বা মাছ চাষের উপর নির্ভর করে সেখানকার মানুষের জীবন জীবিকা। আর সেই মাছ চাষিদের অবস্থা খানিকটা ঐ জলে কুমির ডাঙায় বাঘের মতো। একদিকে রয়েছে তাদের জমিতে নোনা জল ঢুকে জমি নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা আর অন্যদিকে রয়েছে সন্দেশখালির বাঘ শেখ শাহজাহানের বাহিনী। প্রায় ৯০০ বিঘা জমি জবরদখল করেছে বাহিনীর অন্যতম সদস্য শিবু হাজরা। কখনও ইচ্ছাকৃতভাবে চাষের জমিতে নোনা জল ঢুকিয়ে দেওয়া, কখনও চোখ রাঙ্গিয়ে, মানুষকে গুম করে দিয়ে জমি জবরদখল… প্রায় ৯০০ বিঘা জমি জবরদখল করা হয়েছিল বলে দাবি করছে ইডি। গরীব মানুষের চাষ করা মাছ বেআইনিভাবে রপ্তানি করেছে শেখ শাহজাহান আর তার বাহিনী। সেখান থেকে আয় করেছে ৪ কোটি ৪৮ লক্ষ টাকা।
গায়ের জোড়ে নেওয়া হত জমির মালিকদের পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি। এরপর ইচ্ছেমত ক্রেতাদের কাছে সেই জমি বিক্রি করে বিপুল টাকা হাতিয়ে নিতেন সন্দেশখালির শেখ শাহজাহান এবংতার সঙ্গীরা। আদালতে পেশ করা চার্জশিটে এমনটাই দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের। জমি দুর্নীতির আড়ালে কালো টাকা সাদা করেছে শাহজাহান। কালো টাকা সাদা করা হয়েছে মাছ ব্যবসার আড়ালেও। প্রায় ২০০ কোটি টাকার গণ্ডগোল রয়েছে বলে সন্ধান পেয়েছে ইডি। জমি দুর্নীতির এই বিপুল অঙ্কের টাকার ভাগ দলকেও দিয়েছেন তিনি। চার্জশিটে দাবি ইডির। শাহজাহানকে এই কাজে সাহায্য করেছিলেন আরও ৫ জন। এখন সেই ৫ জনকে খুঁজতে মরিয়া ইডি।
এদিকে, ভাঙবে তবু মচকাবে না সন্দেশখালির বাঘ। প্রকাশ্যে একের পর এক দুর্নীতির পর্দাফাঁস হচ্ছে। তবুও নিজেকে নির্দোষ বলে দাবি করে যাচ্ছেন তিনি। ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাঁসানো হয়েছে বলেও দাবি করছেন সন্দেশখালির বেতাজ বাদশা। তবে যে বিপুল পরিমাণ টাকার অঙ্ক তৃণমূলের পার্টি ফাণ্ডে গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে, তা নিয়ে এখনও পর্যন্ত কিছু বলেননি শাসক দলের সদস্যরা। তবে তৃণমূলের অনুমোদন ছাড়া কীভাবে এই কাজ করা সম্ভব বলে প্রশ্ন তুলেছেন বিরোধীরা। যদি সত্যি সেই টাকা তৃণমূলের পার্টি ফান্ডে আসে, তাহএ কীসের স্বার্থে সেই টাকা নিয়েছিল রাজ্যের শাসক দল? এত টাকা আত্মসাতের পিছনে উদ্দেশ্যটাই বা কী? স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন থাকছেই। আপনাদের মতামত জানান কমেন্ট বক্সে। সঙ্গে দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।