Trending

প্রথাগত চাষ করে তেমন একটা লাভের মুখ দেখা যায় না। প্রচলিত চাষে কৃষকবন্ধুরাও উৎসাহ হারালেও একইসঙ্গে ঝুঁকছেন বিকল্প চাষে।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদার একটি সভায় উচ্চারণ করেছিলেন ড্রাগন ফলের কথা। প্রথাগত চাষ বাদ দিয়ে কিভাবে এই ফলের চাষ করা সম্ভব তারই সুলুক সন্ধানে নেমে পড়েন পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের কৃষক শাহাবুদ্দিন মন্ডল। যোগাযোগ করলেন কৃষি দফতরের সঙ্গে। যে জমিতে এতদিন ধান, আলু চাষ করে এসেছেন সেই জমিতেই আজ ফলাচ্ছেন ড্রাগন ফল। আড়াই বিঘা জমির উপর এগারো মাস আগে ড্রাগন ফলের চাষ করেছিলেন। এখন সেই গাছে রীতিমত ফল ধরতে শুরু করে দিয়েছে। আজ তিনি একজন ড্রাগন ফলের সফল চাষি।
যেহেতু এই ফলের চাষ শাহাবুদ্দিন বাবুর কাছে একেবারে নতুন তাই বারবার পরামর্শ নিয়েছেন কৃষি দফতরের বিভিন্ন আধিকারিকের। আধিকারিকদের পরামর্শ নিয়ে এখন যথেষ্ট ভালো ফলন হচ্ছে ড্রাগনের। তবে অন্যান্য চাষের থেকে ড্রাগন ফল চাষে অনেকটাই কম খরচা হয়। সেই অর্থে কীটনাশকের প্রয়োজনও তেমন পড়ে না। তাই কম খরচে ভালো ফলন পাওয়া যায় বলেই জানাচ্ছেন শাহাবুদ্দিন।
ড্রাগন ফল চাষের জনপ্রিয়তা উত্তোরত্তর বেড়েই চলেছে। অ্যান্টি অক্সিড্যান্টে ভরপুর এমন ফল চাষে লাভ আছে বলে জানাচ্ছেন জামালপুরের ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক শুভঙ্কর মজুমদার। এমনকি এই জমিকে প্রোজেক্ট হিসেবেও দেখানো হবে যাতে অন্যান্য কৃষকরাও এই চাষে উৎসাহী হতে পারেন।
এই ফলের অরিজিন মেক্সিকোতে। ফলটি বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে থাইল্যান্ডে। বর্তমানে ভারতেও ড্রাগন ফলের চাহিদা ক্রমশই ঊর্ধ্বমুখী। তাই কৃষকবন্ধুরাও নতুন করে এই ফলচাষের দিকে ঝুঁকছেন। কম খরচ করে ভালো দামেও বাজারে বিক্রি করতে পারছেন ড্রাগন ফল। সবমিলিয়ে কৃষি অর্থনীতিতে ড্রাগন ফল কৃষকদের আস্থা ভালোভাবেই ধরে রাখতে পেরেছে।
পত্রলেখা বসু চন্দ্র
পূর্ব বর্ধমান