Trending
কাজে ব্যস্ত। স্ক্রিন থেকে চোখ সরানর সময় নেই। হঠাৎই বিকট শব্দে কেঁপে উঠলো মোবাইল ফোন। মেসেজ নয়, হোয়াটস অ্যাপ নোটিফিকেশনও নয়! অথচ ভাইব্রেট হচ্ছে নিজে থেকেই। অ্যালার্ট বন্ধ করা যাচ্ছে না যতক্ষণ না সেটা নিজে থেকে বন্ধ হচ্ছে। কেউই কিছু বুঝে উঠতে পারছেন না, আসলে হচ্ছেটা কী? ফোন হ্যাক করা হচ্ছে না তো? নাকি নজরদারি চালাচ্ছে কেউ?
আচমকা ফোনে এরকম ভয়ঙ্কর আওয়াজ শুনে অবাক হওয়ারই কথা। তবে চিন্তার কিছু নয়। কোলকাতা সহ জেলায় জেলায় এখন কাঁপছে মোবাইল। আসলে সতর্কবার্তা পাঠাচ্ছে সরকার। কীসের সতর্কতা? কেন্দ্রের তরফে তৈরি করা হচ্ছে নতুন এমারজেন্সি অ্যালার্ট সিস্টেম। দেশজুড়ে পরীক্ষামূলকভাবে পাঠানো হচ্ছে এই অ্যালার্ট। হঠাৎ কোন জরুরী পরিস্থিতি তৈরি হলে মেসেজ পাবেন সকলে। কম সময়ে।
আবহাওয়ার অবনতি হোক বা ভূমিকম্প অথবা হঠাৎ শত্রুর আক্রমণ- যেকোনো পরিস্থিতিতে কাজে আসবে এই ফ্ল্যাশ মেসেজ অ্যালার্ট। তবে কী সত্যিই সেরকম কোন সম্ভাবনা রয়েছে? সেটার উত্তর সময় দেবে। আপাতত এটা নিয়ে মাথাব্যথার বিশেষ কোন কারণ নেই। মোবাইলে নেটওয়ার্ক না থাকলেও ফ্ল্যাশ মেসেজটি পাবেন সকলেই। হ্যাঁ! গুগল বা হোয়াটস অ্যাপ মারফৎ এই নোটিফিকেশন পাঠানই যেত। তবে ফ্ল্যাশ মেসেজের মাধ্যমে ভারত সরকারের খরচ কিছুটা কম হবে। তাই ফ্ল্যাশ মেসেজকেই বেছে নেওয়া হয় সরকারীভাবে।
প্রসঙ্গত, এই টেকনোলজি এখনও পর্যন্ত ভারতে অ্যাভেলেবল নয়। ফরেন ভেন্ডরদের মাধ্যমেই এই টেকনিক্যাল ট্রায়াল চালু করা হয়েছে। তবে, খুব শীঘ্রই মেক ইন ইন্ডিয়া করার পরিকল্পনায় রয়েছে ভারত সরকার।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ