Daily

চাকরি আছে। বেকারত্বও আছে। তবু কর্মীর অভাবে ধুঁকছে চটকলগুলি। আসলে কাজকর্মের ক্ষেত্রে বাছ-বিচার বেড়ে যাওয়ায় শ্রমিক ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও কার্যত কর্মীহীনতায় ভুগছে চটকলগুলি। তবে এখনই আশাহত হচ্ছেন না, শ্রম দপ্তরের আধিকারিকরা। তারা আশা রাখছেন, মার্চে এই বর্তমান চুক্তির মেয়াদ শেষে নতুন চুক্তি আসলে হয়তো কিছুটা সুরাহা হতে পারে পরিস্থিতির। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেনো তৈরি হচ্ছে এমন পরিস্থিতি?
বেকার যুবকদের চটকলে কর্মমুখী করতে একাধিক উদ্যোগ নিয়েছে রাজ্য সরকার। হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা জেলা জুড়ে বিভিন্ন চটকলে দেওয়া হচ্ছে ট্রেনিং। ট্রেনিংকালে দেওয়া হচ্ছে বৃত্তি এমনকি থাকা খাওয়ার ব্যবস্থাও। ট্রেনিং শেষে চাকরির গ্যারান্টি দিয়েও উপযুক্ত সাড়া মিলছে না। ফলে জেলার কর্মসংস্থান কেন্দ্র থেকে চাকরিপ্রার্থীদের নাম এইসব প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠানো হলেও, আদপে তেমন ভিড় জমছে না সেইসব শিবিরে।
শ্রম দপ্তরের আধিকারিকদের দাবি, হয়তো প্রশিক্ষণ শিবিরে বৃত্তি বাবদ দেওয়া অর্থ আর বেতন তাদের মনঃপুত না হওয়ায় চটকল বিমুখ হচ্ছেন তারা। যদিও এই দাবি স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছেন চটকল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, চটকলে কাজের সময়, বেতনক্রম – এসমস্ত কিছুই সরকারের সাথে আলোচনা করেই করা হয়েছিল। তাই এখন এসব বলা প্রকৃতপক্ষে যুক্তিহীন।
মূলত স্কুলছুট, শিক্ষিত, কর্মসংস্থান কেন্দ্রে নথিভুক্ত কর্মঠ বেকারদের চটকলে শ্রমিকের কাজের সুযোগ দেওয়াই ছিল রাজ্যের লক্ষ্য। সেখানে এমন অনেকের নাম রয়েছে যাদের কর্মসংস্থান কেন্দ্রের নথিতে মাধ্যমিক পাশ বা মাধ্যমিক অনুত্তীর্ণ আবার অনেকেই রয়েছেন যারা উচ্চ শিক্ষা শেষ করে অন্য চাকরি খুঁজছেন। কিন্তু তারা শ্রমিকের কাজ করতে অনাগ্রহী। ফলে চটকলবিমুখ হচ্ছেন তারা।
ব্যুরো রিপোর্ট