Daily
সুদ নির্ভর প্রবীণ নাগরিকদের অর্থনীতিতে এবার বড় ধাক্কা দিল কেন্দ্রীয় সরকার। শুধুমাত্র ব্যাঙ্কের আমানতের সুদের উপর নির্ভর করে দেশের নাগরিকদের একটা বড় অংশ। সেই বড় অংশের হাতে শেষ পর্যন্ত পড়ে থাকছে শুধুই পেন্সিল। এমন রিপোর্ট বেরিয়ে আসলো স্টেট ব্যাঙ্কের সাম্প্রতিক গবেষণায়।
কেন্দ্রীয় সরকার বাজারকে সচল রাখতে ব্যাঙ্কে আমানতের সুদ কম করে বাড়ি-গাড়ি সহ বিভিন্ন ভোগ্য পণ্যের ঢালাও ঋণের ব্যবস্থা করছেন শুধুমাত্র বাজারকে সচল রাখার জন্য। বাজারের চাহিদা বৃদ্ধি করার জন্য। অথচ প্রবীণ নাগরিকদের আয়ের একমাত্র উৎস সুদে পড়ল কোপ।
দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কগুলিতে গচ্ছিত মোট আমানতের পরিমাণ ১০২ লক্ষ কোটি টাকা। এখন দেশের বিভিন্ন রাষ্ট্রায়াত্ত ও বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাঙ্কগুলিতে প্রবীণ নাগরিকরা বাৎসরিক ৬.২০ শতাংশ হারে সুদ পান। আর অন্যান্য নাগরিকরা বাৎসরিক ৫.৪০ শতাংশ হারে।
সাধারণ নাগরিকদের ক্ষেত্রে বাৎসরিক ৪০ হাজার টাকার উপর সুদ হলে ১০ শতাংশ হারে টিডিএস কাটা হয়। আর প্রবীণ নাগরিকদের বাৎসরিক ৫০ হাজার টাকার উপর সুদ হলে ১০ শতাংশ হারে টিডিএস কাটা হয়।
স্টেট ব্যাঙ্ক তাদের সাম্প্রতিক গবেষণায় বলেছেন, মূল্যবৃদ্ধি যেভাবে মাথাচাড়া দিয়েছে তার উপর আমানতের উপর ট্যাক্স কাটলে প্রকৃতপক্ষে প্রবীণ নাগরিকদের হাতে নিট আয় দাঁড়াচ্ছে ০.২৮ শতাংশ। আর যারা প্রবীণ নাগরিক নন তাদের আমানতের উপর নিট আয় দাঁড়াচ্ছে (-) ০.৪৪ শতাংশ।
কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কের পরামর্শ যদি মূল্যবৃদ্ধি নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় তবে ব্যাঙ্কগুলিতে এখনই সুদ বাড়ানোর দরকার নেই। প্রয়োজন শুধু কর কাঠামোর পুনর্বিন্যাস’। চলতি বছরের আগস্ট মাসে মূল্য বৃদ্ধির পরিমাণ ৫.৩০ শতাংশ। আর যদি মূল্যবৃদ্ধি কোনমতে নিয়ন্ত্রণ না করা যায় তাহলে ভবিষ্যতে আমানতকারীদের সুরক্ষার জন্য সুদের হার বৃদ্ধির পাশাপাশি কর কাঠামোর প্রত্যাহারের বিষয়টি ও কেন্দ্রীয় সরকারকে চিন্তা করতে হবে।
দেশের আর্থিক বিশ্লেষকদের একাংশ মনে করেন, বর্তমান ব্যবস্থায় প্রবীণ নাগরিকদের সুদের হার যেভাবে তলানিতে এসে ঠেকেছে সে ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার যদি অবিলম্বে ব্যবস্থার না গ্রহণ করেন তবে অচিরেই কেয়ার অফ ফুটপাতে এসে দাঁড়াবেন দেশের প্রবীণ মানুষরা।
ব্যুরো রিপোর্ট