Daily

“তোমার মহাবিশ্বে কিছু হারায় না তো কভু”। একেবারেই ঠিক। পৃথিবী থেকে শতকোটি যোজন দূরে সুদূর মহাকাশে রাখা শুক্রাণু থেকে জন্মালো ফুটফুটে নতুন প্রাণ। একেবারে সুস্থ এবং স্বাভাবিক আছে তারা। মহাজাগতিক বিকিরণের সংস্পর্শেও কোনও সমস্যা হয়নি। শুক্রাণু সম্পূর্ণ স্বাভাবিক ছিল। বড়োসড়ো সাফল্যের সাক্ষী বিজ্ঞান-বিজ্ঞানীরা।
মহাজাগতিক বিকিরণ প্রজনন কোষের DNA-তে কোনও প্রভাব ফেলে কিনা বা এক্ষেত্রে তা বংশবিস্তারের ক্ষেত্রে মিউটেশনে কোনো প্রভাব ফেলে কিনা সেই পরীক্ষা চালাতেই হিমায়িত অবস্থায় ইঁদুরের শুক্রাণু আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে সংরক্ষণ করা হয়েছিল। যাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে এনে, হাইড্রেট করার পর ডিম্বাণুর সাথে নিষেক ঘটনায় জন্ম নেয় ১৬৮ টি ছোট্ট ইদুরছানা। উন্নয়নশীল জীববিজ্ঞানী তেরুহিকো ওয়াকায়মা বলেছেন, মহাকাশে রাখা শুক্রাণু এবং পৃথিবীতে থাকা শুক্রাণুর মধ্যে সামান্যই ফারাক রয়েছে। তবে তাদের মধ্যে জেনেটিক কোনো সমস্যা দেখা যায় নি। নবজাতকরা সম্পূর্ণ সুস্থ আছে।
২০১৩ সালে, বিজ্ঞানী ওয়াকায়মা এবং জাপানের ইয়ামানশি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকর্মীরা ৩টি বাক্সে ৪৮ টি অ্যাম্পুল আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে পাঠিয়েছিলেন। এরপর প্রথমে, ৯মাস, তারপর ২ বছর এবং সবশেষে দীর্ঘ ৬ বছর পর হলো অপেক্ষার অবসান। আর সেই অবসান যখন সাফল্য দিলো তখন তো খুশির সীমা থাকে না। জীববিজ্ঞানী ওয়াকায়ামার মতে, ভবিষ্যতে যখন অন্যান্য গ্রহে স্থানান্তরের প্রশ্ন আসবে, তখন মানুষকে জেনেটিক সম্পদের বৈচিত্র্য রক্ষা করতে হবে। শুধু মানুষ নয়, অন্য প্রাণীদের জন্যেও তা প্রযোজ্য। তখন কোষ স্পেসশিপ পরিবহন করতে পারবে।
ব্যুরো রিপোর্ট