Daily

কৃষি ভিত্তিক অর্থনীতিকে মজবুত করার পাশাপাশি চাষের অতিরিক্ত খরচ কমিয়ে কিভাবে কৃষকদের আয় বৃদ্ধি করা যায়, তা নিয়ে নানারকম উদ্যোগ নিয়ে থাকে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার কৃষি দপ্তরগুলি। মূলত বিজ্ঞানভিত্তিক কৃষি প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে, কম সময়ে এবং কম খরচে উন্নতমানের ফসল উৎপাদন করা যায়, তা নিয়ে এক প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পিংলা ব্লকের কৃষি দপ্তরের আধিকারিকরা।
আতমা প্রকল্পের সহায়তায় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে কীভাবে ধান চাষ ও গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ করা যায়, সেই বিষয়ে প্রতিদিন এলাকার ১০০ জন কৃষককে বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। দিন দিন কমে যাচ্ছে বোরো ধান চাষে লাভের পরিমাণ। বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে বোরো ধান চাষ করে কীভাবে চাষিভাইদের আয় বৃদ্ধি করা যায়, মূলত সেই বিষয়েই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তাদের। এছাড়াও এদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের মূল বার্তা ছিল, বোরো ধান চাষের অন্তর্বর্তী পরিচর্যার বিষয়টিও। একইসাথে, ধান চাষ করতে গেলে কখন কি পরিমাণ সার দেওয়া প্রয়োজন, সে বিষয়েও বিস্তারিত আলচনা করা হয় এদিনের প্রশিক্ষণ শিবির থেকে।
বোরো মরশুমে ধান চাষের অন্তর্বর্তী পরিচর্যা করার বিষয়ে কীভাবে ফাঞ্জিসাইড বা ইন্সেক্টিসাইড ব্যবহার করবেন চাষিভাইরা? রোগ-পোকার আক্রমণ বা পাখির উপস্থিতিতে পোকার আক্রমণ থেকে কিভাবেই বা বাঁচাবেন ধান গাছগুলিকে? সে বিষয়ে বিশদে জানালেন, পিংলা ব্লকের কৃষি আধিকারিক ডঃ সৌমেন মণ্ডল।
চাষের জমিতে কীভাবে খরচ বাঁচিয়ে ইন্সেক্টিসাইড স্প্রে করতে হবে, সে বিষয়েও কথা বললেন ধান্য গবেষণা কেন্দ্রের প্রাক্তন কৃষিবিদ মাধব ধাড়া।
এদিনের এই প্রশিক্ষন শিবির যে অন্তর্বর্তী ধান চাষের বিষয়ে বেশ ভালো রকম সাড়া ফেলবে সে কথা বলাই যায়। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পিংলা ব্লকের কৃষি আধিকারিক ডঃ সৌমেন মণ্ডল, বি টি এম অরুনাভ সামন্ত, চুঁচুড়া ধান্য গবেষণা কেন্দ্রের প্রাক্তন কৃষিবিদ মাধব ধাড়া সহ প্রমুখরা।
প্রসূন ব্যানার্জি
পশ্চিম মেদিনীপুর