Daily
স্কুল বিশেষে পড়ুয়াদের ভিন্ন পোশাকের দিন এখন শেষ। এবার থেকে সমস্ত সরকারি ও সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত স্কুলগুলোর জন্য থাকবে একই পোশাক। রং থাকবে নীল-সাদা। আর তাতে থাকবে বিশ্ব-বাংলার লোগো। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই অভিনব ভাবনার বাস্তবায়নের জন্য রাজ্য জুড়ে স্কুলড্রেস তৈরির প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। আর এই দায়ভার বর্তেছে বিভিন্ন জেলার স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের কাঁধে।
লক্ষ্য যখন মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করা, তখন পিছিয়ে নেই আলিপুরদুয়ার জেলাও। জেলার এই কর্মযজ্ঞ রূপায়নের দায়িত্ব পেয়েছেন কুমারগ্রাম ব্লকের মহিলা স্বনির্ভর গোষ্ঠী, প্রগতি অ্যাকটিভিটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্লাস্টার কো-অপারেটিভ সোসাইটি লিমিটেড। ২০১৭ সালে মাত্র ১২ জন মহিলাকে নিয়ে যাত্রা শুরু হয় এই প্রগতি অ্যাকটিভিটি ক্লাস্টারের।
ধীরে ধীরে বড় হয়েছে প্রগতি অ্যাক্টিভিটির পরিবার। আজ সেখানে মহিলা সদস্যার সংখ্যা ২৫। বর্তমানে এখানে স্কুল ড্রেস তৈরির ট্রেনিং চলছে, দুটো ব্যাচে মোট ৬০ জন মহিলার।
সোসাইটির লক্ষ্য, গ্রামের পিছিয়ে পরা মহিলাদের আর্থিকভাবে স্বনির্ভর করা। তাই প্রশাসনের তরফে প্রথমে তাদের ইলেক্ট্রনিক মেশিন থেকে শুরু করে অত্যাধুনিক কাটিং মেশিন, কালার ও আয়রন করা, বোতাম সেলাই- সমস্ত কিছুতে অবগত করা হয়েছে। কুমারগ্রাম ব্লকের ১১ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের ১১ টি সংঘের প্রত্যেককে প্রদর্শন ও প্রশিক্ষনের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে।
তবে শুধু স্কুল ড্রেস সেলাই-ই নয়। গ্রামের পিছিয়ে পরা মহিলারা যাতে সারাবছর ডালে-ভাতে থাকে, সরকারের কাছে সেইটুকুই আর্জি রেখেছেন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
অভিজিৎ চক্রবর্তী
আলিপুরদুয়ার