Daily
করোনার ভরা মরশুমে বন্ধ ছিল রাজ্যের সমস্ত স্কুল, কলেজ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার কারণে সরস্বতী পুজোর আনন্দ থেকে ব্রাত্য থাকতে হত পড়ুয়াদের। কিন্তু ৩১ জানুয়ারি নবান্নে বৈঠক হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে খুলে গিয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। আর তাতেই খুশির হাওয়া বইছে ছাত্রছাত্রী থেকে অভিভাবক সকলের মধ্যেই।
শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ার কারণে হাসি চওড়া হয়েছে মৃৎশিল্পীদের। শেষ মুহূর্তে বায়না আসায় তাঁরা কিছুটা হলেও উপার্জনের মুখ দেখতে পাবেন। অন্যান্য বছর আগে থেকেই বায়না দেওয়া থাকে। এই বছর বন্ধ থাকায় ছোট মূর্তির চাহিদাই ছিল বেশি। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে যাওয়ায় যে কটা মূর্তি তৈরি করা ছিল সেই মূর্তির বায়না আসায় খুশির হাওয়া মৃৎশিল্পীদের মধ্যে।
অন্যান্য বছর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ইতিমধ্যেই সাজো সাজো রব পড়ে যায়। সরস্বতী পুজো শিয়রে এসে যাওয়ায় খুশির হাওয়া খেলে শিক্ষিকা থেকে পড়ুয়াদের মধ্যে। এই বছর পুরোটাই ছিল অনিশ্চিত। তাই কিছুটা হলেও মুখ ভার ছিল মৃৎশিল্পীদের। অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার নির্দেশ আসায় পুজোর জন্য ব্যস্ততা বেড়েছে স্কুলগুলিতে। ফলে মৃৎশিল্পীরাও এখন অনেকটাই স্বস্তিতে।
বিক্রম লাহা