Daily

গত দুবছরে করোনার কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ থাকার পর গত বছর ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল-কলেজ খুলে দেওয়া হয়েছিল। নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস চালু হয়। কিন্তু আবারও করোনার তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ায় এবারও বছরের শুরুতেই বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। কিন্তু এবার ধীরে ধীরে শপিং মল, রেস্তরাঁ, জিমে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে চালু করায় স্কুল খোলার ব্যাপারেও জোর আওয়াজ তুলেছেন অভিভাবক থেকে সাধারণ জনগন।
দীর্ঘদিন ধরে পঠনপাঠন শিকেয় উঠেছে বলে অভিযোগ জানাচ্ছেন অভিভাবকরা। এমতবস্থায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার আবেদন জানিয়ে ইতিমধ্যে নবান্নকে চিঠি দিয়েছে রাজ্য শিক্ষা দফতর। রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর কাছে স্কুল খোলার আবেদন জানিয়েছে শিক্ষা দফতর। আবেদন করা হয়েছে, কোভিড বিধি মেনেই ফের নবম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ক্লাস যাতে চালু করা হয়।
ইতিমধ্যেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার ব্যাপারে সরব হয়ে নানা কর্মসূচি নিচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী ও অন্যান্য সংগঠন। সেই সঙ্গে কমবয়সীদের (১২-১৪) জন্য টিকাকরণ চালু হয়ে পড়ায় এই দাবি আরও জোরালো হয়।
কাজেই এমন পরিস্থিতিতে স্কুল খোলার পক্ষেই মত দিয়েছে শিক্ষা দফতর। স্কুল খোলার দাবি নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলাও করেছে একটি ছাত্র সংগঠন। এই নিয়ে একই দাবিতে কলকাতা হাইকোর্টে দু’টি জনস্বার্থ মামলাও দায়ের করা হয়েছে। এবং স্কুল খোলার বিষয়ে কী কী বিধিনিষেধ মানতে হবে, তা নবান্ন সবুজ সংকেত দেওয়ার পরেই ঠিক করা হবে।
করোনা গাইডলাইন মেনে স্কুল খুললে কোনও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে ৫০ শতাংশ উপস্থিতি নিয়ে স্কুল খুলবে কিনা, তা এখনও জানা যায়নি। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির তরফে জানানো হয়েছে স্কুল খোলা না হলে বৃহত্তর আন্দোলনের পথে নামবেন তাঁরা।
ব্যুরো রিপোর্ট