Market

আগেই উদ্বেগ বাড়িয়েছিল দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্ক। জানিয়েছিল দেশের মানুষের সঞ্চয় ক্রমশ কমছে। এবার উদ্বেগের পারদ আরও একটু চড়িয়ে দিল ভারতের বৃহত্তম ব্যাঙ্ক স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। সম্প্রতি এসবিআইয়ের তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে হারে সংসারের খরচ উত্তরোত্তর বেড়ে চলেছে তাতে সামাল দিতে গিয়ে রীতিমত নাভিশ্বাস উঠছে সাধারণ মানুষের। আর সেই কারণে গত অর্থবর্ষে রীতিমত ধারদেনা করতে হয়েছে বহু পরিবারকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত বছরে অতিমারির কারণে সাধারণ মানুষকে হাত দিতে হয় সঞ্চয়ে। এদিকে মূল্যবৃদ্ধির চাপে রীতিমত বিধ্বস্ত হয়ে পড়ে সাধারণ মানুষের রুটিরুজি। ফলে বাড়তে থাকে ঋণের পরিমাণ। জানা গিয়েছে, গত আর্থিক বছরে গৃহস্থ পরিবারের ঋণ গ্যালোপিং গতিতে বেড়ে পৌঁছে যায় জিডিপি’র ৩৭.৩ শতাংশে। তবে শুধু অতিমারিই যে মানুষের পকেট শূন্য করে দিয়েছে এমন নয়। মনে করা হচ্ছে, মানুষ ঋণ নিতে বাধ্য হতে শুরু করে ২০১৬ সালে মোদী সরকার নোট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেবার পর থেকেই। তারপরেই গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে উপস্থিত হয় জিএসটি। তারপর আবার যখন মানুষ নিজেকে খানিক গুছিয়ে নিতে যাচ্ছিল ঠিক এমন সময়ে অর্থনীতির ওপর পড়ে অতিমারির কামড়।
সব মিলিয়ে সর্বস্বান্ত সাধারণ মানুষ। ঠিক কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে অর্থনীতির পরিকাঠামো? আর কতই বা বাড়তে থাকবে এই ঋণের পরিমাণ? এই প্রশ্নটাই ঘুরছে অর্থনীতিবিদদের মুখে মুখে।
ব্যুরো রিপোর্ট