Daily

একটা সময় ছিল যখন ভারতীয় সিনেমা হত পুরাণ, দেবদেবী নির্ভর। এই ধরনের সিনেমার সঙ্গেই ভারতীয় দর্শকের পরিচিতি ছিল বেশি। তখন কিই বা মন্তাজ থিওরি আর কিই বা বাউন্স লাইট ? তখন দিনে দিনে সাবালক হাওয়ার পথে চলচ্চিত্র শিল্প। সিনেমার বিষয়, দর্শন ও প্রযুক্তি নিয়ে চলছে নানারকম পরীক্ষা-নিরীক্ষা।
সেই সময় ভারতীয় সিনেমাকে পুরনো মেজাজ থেকে বের করে এনে একেবারে ঝরঝরে ভাষায় দৃশ্যপট সাজাবার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন বছর তেত্রিশের এক যুবক। তিনি সত্যজিৎ রায়। আইজেনস্টাইন বা ডেসিকার ভাব টেনে তিনি ভারতীয় চলচ্চিত্রে নিয়ে আসলেন নিও মর্ডানাইজ প্রেক্ষাপট। ক্রমশই বিশ্ব সিনেমার মানচিত্রে তিনি হয়ে উঠলেন অদ্বিতীয়।
একের পর এক কালজয়ী ছবি নির্মাণ করে ভারতীয় চলচিত্রকে সমৃদ্ধ করে তুলেছেন।
আজ শতবর্ষে সত্যজিৎ। সাহিত্য, সঙ্গীত থেকে সিনেমায় যার বিচরণ জলের মত। কখনও নিজের হাতে গড়া, আবার তাকেই ভেঙে ফেলা, এক নিজস্ব আঙ্গিকে বয়ে নিয়ে যাওয়া। ফেলিনি থেকে কুরোসাওয়া, ত্রুফো থেকে হাল আমলের স্করসেসি, সবাই একবাক্যে একডাকে যাকে চেনেন, সেই সত্যজিৎ রায় বাংলা ও বাঙালির অহঙ্কার, অন্যতম কিংবদন্তী, প্রাণপুরুষ। তাঁকে বিজনেস প্রাইম -এর বিনম্র শ্রদ্ধা।
ব্যুরো রিপোর্ট