Daily
সে আপনি যতই ওয়ার্কহোলিক হন, একদিন ছুটি পেলে, শহর পিছনে ফেলে, শান্ত কোনো জায়গায় যাওয়ার জন্য মনটা আঁকুপাঁকু করেই। আর এখন তো সামনেই পুজোর লম্বা ছুটি। ভ্যাকেশন প্ল্যান করছেন তো নাকি? দেখুন ভ্রমণপ্রিয় বাঙালির ভ্যাকেশন লিস্টে দীপুদা থাকবে সেটা quite natural। But have you ever thought about some off-beat places? নর্থ বেঙ্গল তো যান। Dooars, লাভা কিংবা আলিপুরদুয়ার তো হামেশাই যাওয়া হয়। কিন্তু উত্তরবঙ্গে আনাচে কানাচে কত ঘোরার জায়গা আছে, জানেন কি? না জানলেও অসুবিধে নেই। পুজোর ভ্যাকেশন প্ল্যান করতে পারেন বিজনেস প্রাইম নিউজের সঙ্গে। পুজো ডেস্টিনেশন হিসেবে আপনাদের খোঁজ দেবো এমন এমন সব আনকমন জায়গার, যে দেখার পর মুখ থেকে শুধু একটাই শব্দ বেরোবে। ওয়াও!
পশ্চিমবঙ্গের শেষ প্রান্তে ভুটান বর্ডার লাগোয়া সংকোশ বিল। শহরের কোলাহল থেকে দূরে, নির্জনে সবুজের সমারহে এক সুন্দর সাদামাটা পরিবেশ। ১/২ দিনের ছুটি কাটানোর এই বিলটি একেবারে আদর্শ। চারিদিকে সতেজ সবুজ, আর তারই মাঝে বিলের ধারে বসে আপনি অনুভব করতে পারবেন পরিযায়ী পাখিদের কিচিরমিচির। আর আপনাকে মাঝে মাঝে স্পর্শ করবে বরফগলা জলে পুষ্ট সংকোশ নদীর হিমশীতল হাওয়া। আপনি ইচ্ছে করলে বিল থেকে ফিশিংও করতে পারেন, সে ব্যবস্থাও রয়েছে। তবে অবশ্যই টিকিট কেটে। আবার ঘাটে বাঁধা নৌকোটিতে চড়ে দাঁড় বাইতে বাইতে দিব্যি ঘুরতে পারেন সংকোশে। সঙ্গে দু-এক কলি গান হলে মন্দ কি?
বিলের আশেপাশে বেশ কয়েকটি বেসরকারি হোটেল, রিসর্ট এবং লজ রয়েছে। চাইলে নাইট স্টে করতে পারেন। রয়েছে সাইট সিং-এ যাওয়ার অপশন। আসামের যমদুয়ার, রায়মনা ন্যাশনাল পার্ক কিংবা ইস্টার্ন ডুয়ার্সের যেকোনো জায়গায় যাওয়া যায় এখান থেকে।
সংকোশ বিলে দেখার মত কোন কোন জায়গা আছে, সেসব তো শুনলেন। আর শুনতে শুনতে নিশ্চয়ই মনে হয়েছে, একবার ঘুরে আসা যায় এখান থেকে। তা কীভাবে যাবেন ভাবছেন তো? যদি ট্রেনে যান, তাহলে এখানকার নিকটবর্তী রেলস্টেশন কামাখ্যাগুরি বা আলিপুরদুয়ারে নামতে পারেন। আর বাসে আসলে তো শিলিগুড়ি বা আলিপুরদুয়ার থেকে আসামগামী যেকোনো বাসে উঠলেই এখানে আসা সম্ভব। এছাড়াও নিকটবর্তী এয়ারপোর্ট রূপসী তো রয়েছেই। আকাশপথেও এখানে আসা সম্ভব। কাজেই পূজা ভ্যাকেশনে ডুয়ার্স প্ল্যান করলে সংকোশ বিলে কিন্তু একবার ঢুঁ মারতেই পারেন।
অভিজিৎ চক্রবর্তী
আলিপুরদুয়ার