Story
বি পি এন ডেস্ক: কৌন বনেগা করোরপতির মঞ্চে কোটির অঙ্ক ছুঁতে গেলে পেরোতে হয় অনেকগুলো ধাপ। তাও আবার ভাগ্য সহায় থাকলে। কিন্তু আজ আপনি জানতে পারবেন এমন একটি আয়ের উৎস, যার জন্য প্রয়োজন অল্প পরিশ্রম কিন্তু রেজাল্ট নিশ্চিত।
কৃষি নির্ভর ভারতবর্ষে গাছগাছালির চাষ কম হয় না। যদিও এমন কোন গাছ নেই যা আপনাকে লং টার্ম নিশ্চিন্তের জীবন কাটাতে সাহায্য করবে। যদি না আপনার জমিতে চন্দন গাছ থাকে। হ্যাঁ, ঠিকই শুনেছেন, চন্দন গাছ। আপনার হাতে যদি এক কাঠা জমি থাকে, আর সেখানে যদি চন্দন গাছের চাষ করতে পারেন, তাহলে আপনিও হতে পারবেন কোটিপতি। উপার্জনের অঙ্কটা পৌঁছতে পারে ৩০-৩২ কোটি টাকায়। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল, এতো লাভজনক এই চাষ সম্পর্কে মানুষের ধারণা এখনও তেমন স্পষ্ট নয়। তাই, আজ আপনাদের জানাব চন্দন চাষের পদ্ধতি।
একটি চন্দন গাছ পরিণত হতে সময় নেয় প্রায় ১২ বছর। গাছটি চাষ করার সময় এর সঙ্গে আরেকটি হোস্ট গাছের চাষও করতে হয়। খেয়াল রাখবেন দুটো গাছের যত্নই সমানভাবে নিতে হবে। মাথায় রাখবেন, চন্দন গাছের চারার দাম একটু বেশি। তাই খুচরো না কিনে যদি একসঙ্গে অনেকগুলো কিনতে পারেন, তাহলে আপনি লাভবান হবেন। নিচু জমিতে চন্দন গাছের চাষ খুব একটা ভালো হয় না। কারণ চন্দন গাছের জন্য অতিরিক্ত জলের প্রয়োজন পড়ে না। একইভাবে বেশি তাপমাত্রাও চন্দন গাছ চাষের জন্য উপযুক্ত নয়। ৫ ডিগ্রি থেকে ৪০ ডিগ্রি তাপমাত্রাই চাষের অনুকূল হবে।
বছর বারো পর থেকে আপনি লাভের মুখ দেখতে শুরু করবেন। একটি গাছ থেকে প্রায় ১৫-২০ কেজি চন্দন কাঠ পাওয়া যায়। যার বাজার মূল্য ৬ লক্ষ টাকারও বেশি। এই গাছের কাঠ আপনি সরকার ছাড়া আর কাউকে বিক্রি করতে পারবেন না।
হিন্দু ধর্মে চন্দন কাঠ যে কোন শুভ অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা তো হয়েই থাকে, এছাড়াও চন্দন গাছের আরও অনেক উপকারিতা আছে। শ্বেত চন্দন বা রক্ত চন্দনের মত গাছ যদি ঠিকঠাক পরিচর্যা করতে পারেন তাহলে আপনার সাফল্য আটকায় কে? তেল থেকে প্রসাধনী, বা আতর থেকে ওষুধ শ্বেতচন্দনের ভূমিকা সর্বত্র।
তাই আর কেন ভাগ্যের পরীক্ষা করবেন? সামান্য একটু পরিশ্রম এবং ধৈর্য খরচ করতে পারলে আপনিও হবেন কোটিপতি।