Agriculture news
এক তালিতে যেখানে খুশি যাওয়ার কনসেপ্টকে কাজে লাগিয়ে যদি শস্যের নাম করলেই যেখানে খুশি চলে যাওয়া যেত, তাহলে কিন্তু বেশ হত। এই যেমন ধরুণ, চায়ের নাম করলেই আসাম কিংবা দার্জিলিং পৌঁছে গেলাম। কফির কথা হতেই পৌঁছে গেলাম দক্ষিন ভারত। জাফরানের ইচ্ছে জাগতেই পৌঁছে গেলাম সোজা হিমাচল প্রদেশ বা জম্মু-কাশ্মীর। সাধ্যের মধ্যে সাধ চলে আসত আর কী! তবে, এসব অদ্ভুত ভাবনার বাস্তবায়ন হয়ত সম্ভব নয়, কিন্তু সেখানকার ফসল তো বাংলায় চাষ করাই যায়। তাতে আর কিছু হোক বা না হোক, বাংলার কৃষিক্ষেত্রের ডেভলপমেন্টই হবে।
উত্তরবঙ্গের কিছু মানুষ এমনভাবে ভাবতে পেরেছিলেন বলেই হয়ত আজ শিলিগুড়ির চাষিভাইরা সুদূর ভূ-স্বর্গের ফসল জাফরান চাষের সাহস দেখাচ্ছেন। প্রথমে, উত্তরবঙ্গের আবহাওয়া, মাটি ইত্যাদি পরীক্ষা নিরীক্ষা করেন উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কো-ফার্ম বিভাগের বিজ্ঞানীরা। এবং কিছু ইতিবাচক সংকেত পেয়েই স্থানীয় কৃষকদের হাতে তুলে দেন জাফরানের চারা।
সেই ভূ-স্বর্গ থেকেই আনা হয়েছে এই কাশ্মীরী অতিথিকে। মূলত, তিনভাবে চাষ করা হচ্ছে। ল্যাবের মধ্যে টেম্পারেচার ব্যালেন্স করে, ল্যাবের বাইরে হাইড্রপনিক পদ্ধতিতে এবং কারশিয়াং পাহাড়ে জমি তৈরি করে বিশেষভাবে চাষ করছেন পাহাড়ের চাষিভাইরা। উদ্দেশ্য যখন কৃষিক্ষেত্রে বিনিয়োগ বৃদ্ধি, তখন জাফরান চাষের বিকল্প মেলা ভার। নতুন পদ্ধতিতে একবার সফলতা এলে এগ্রিপ্রিনিয়রদের বিনিয়োগ আসবে বলে আশা করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর বিনিয়োগ আসলে, আসবে সুযোগ সুবিধা। আগ্রহী হবে নতুন প্রজন্ম।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, জাফরান খুব লাভদায়ক চাষ। আর একবার উত্তরবঙ্গে এই চাষের অভ্যাস হয়ে গেলে, সেখানকার অর্থনীতিতে এই ফসল দারুন ছাপ ফেলবে। তাই আপাতত তিনটি বিশেষ উপায়ে জাফরান চাষের পর্যবেক্ষণ চালাচ্ছেন তারা। আর আগামীদিনে এই জাফরান চাষ আরও অনেক কৃষকদের উৎসাহিত করবে বলেও আশাবাদী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীরা।
অরূপ পোদ্দার
শিলিগুরি