Trending
সংসদে ঘুমিয়ে পড়েছেন মহুয়া, সায়নী- ভাইরাল ছবি
যাদবপুর, কৃষ্ণনগর ঘুমোলেও জেগে আছে মেদিনীপুর
সংসদে কেন এভাবে ঘুমোচ্ছেন মহুয়া, সায়নী?
ঘুমিয়ে আছে কৃষ্ণনগর, ঘুমিয়ে আছে যাদবপুর। মধ্যিখানে একলা জেগে জুন মালিয়ার মেদিনীপুর। সংসদ অধিবেশন চলাকালীন সাংসদদের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে জেলাগুলোর উন্নয়ন যে ঘুমিয়ে পড়বে সেটা নতুন কিছু নয়। একটা ভিডিও ইদানিং খুব ভাইরাল হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে একদিকে চোখ বন্ধ করে রয়েছেন কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র আর আরেকপাশে চোখ বন্ধ করে রীতিমত ঢুলছেন যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষ। আর মাঝে জেগে রয়েছেন মেদিনীপুরের সাংসদ জুন মালিয়া। এই ছবিটা প্রকাশ্যে আসতেই কার্যত ভাইরাল। শুরু হয়েছে সাংসদদের উদ্দ্যেশ্যে ট্রোলড হওয়া। সোশ্যাল মিডিয়ায় আপাতত ঘুরছে এই ছবি। কিন্তু এটা কি সত্যি?
এই সবেমাত্র শপথগ্রহণ করে সাংসদ হয়েছেন তাঁরা। তারপরই লোকসভায় যেভাবে কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং যাদবপুরের সাংসদ সায়নী ঘোষকে কার্যত চোখের পাতা বন্ধ করে নিদ্রা নিতে দেখা গেল তারপর তো এই প্রশ্ন উঠবেই। সাংসদরা ঘুমোতে গেছেন নাকি সংসদে? তাঁরা যদি ঘুমিয়ে পড়েন তাহলে তো নিজের এলাকার উন্নয়নও ঘুমিয়ে পড়বে। দিদির বকা খেতে হবে সেটা তো স্বাভাবিক, কিন্তু এমন কাজ করলে কি তৃণমূলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ হবে? যারা ভোট দিয়ে জিতিয়ে এনেছেন তাঁরা যদি এই দৃশ্য দেখেন, সেখানে সাংসদদের উপর থেকে মানুষের আস্থা তো অনেকটাই হারাবে। আর সেটাই করে ফেলেছেন কৃষ্ণনগর এবং যাদবপুরের সাংসদ মহুয়া মৈত্র এবং সায়নী ঘোষ। দুজনকেই সংসদে অধিবেশন চলাকালীন ঘুমোতে দেখা গেল। আর ছবিটা ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁদের নিয়ে শুরু হল দড়ি টানাটানি। সকলেই হাসছেন, তাঁদের নিয়ে ট্রোল করছেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে যে আদৌ কি তাঁরা ঘুমিয়ে ছিলেন? আর মাঝে জেগেছিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ জুন মালিয়া?
ফ্যাক্ট চেক করিয়ে আরেকটি ভিডিও পরে ছড়িয়ে পড়ে। সেখানে দেখা যায় না মহুয়া আর না সায়নী ঘুমিয়ে রয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকেই জেগে রয়েছেন এবং জুন মালিয়ার মত সব কথা কানে নিচ্ছেন, স্বাভাবিক রিঅ্যাক্ট করছেন। তৃণমূলপন্থীরা বলছেন, এসব মানুষকে বোকা বানানোর জন্য ইচ্ছাকৃত কাদা ছোঁড়াছুঁড়ি করছেন সকলে। আসলে তাঁরা কেউ ঘুমিয়ে নেই। তবে এইসবের কোন ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বিজনেস প্রাইম নিউজ। বরং জেগে রয়েছেন সকলেই। এবার আপনারাই বলুন পুরো বিষয়টা। দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ।
জীবন হোক অর্থবহ