Daily

আবারও পশ্চিমি দুনিয়ার বুকে আতঙ্ক ছড়াল রাশিয়া। ফের ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে দেখা দিতে পারে গ্যাসের সংকট। এটা রাশিয়ার পরিকল্পনা নয় তো?
বিপদ ঘনালে চেনা যায় প্রকৃত বন্ধু কে। যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ার পর আমেরিকা প্রথম রাশিয়ার থেকে পণ্য বা জ্বালানি আমদানি-রফতানির বিরুদ্ধে গর্জে ওঠে। বাইডেনের সুরে তাল মিলিয়েছিল পশ্চিমা দেশগুলি। তারাও পণ্য আমদানি-রফতানি বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু দেখা যায়, তলে তলে রাশিয়ার থেকে গ্যাস আমদানি তারা করছেই। ভারত অবশ্য কোন ঝামেলার মধ্যে নিজেকে জড়ায় নি। গ্লোবাল প্ল্যাটফর্মে রাশিয়াকে যুদ্ধ বন্ধ করার আর্জি জানিয়েছে। অন্যদিকে রাশিয়ার থেকে একচেটিয়া তেল, গ্যাস ইত্যাদি তারা কিনেই গেছে। বিদেশমন্ত্রী এস.জয়শঙ্কর এই বিষয়ে ভালোরকম সাফাই দিয়েছেন। অর্থাৎ মোদীর চালে সন্তুষ্ট পুতিন। কিন্তু পুতিনের কথায় সন্তুষ্ট থাকতে পারছে না ইউরোপের বহু দেশ। তার মধ্যে রয়েছে বুলগেরিয়া, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ড এবং জার্মানি। কারণ? আবারও গ্যাসের সরবরাহ বন্ধ করে দিয়েছে পুতিন সরকার। সাফাই হিসেবে মস্কোর বক্তব্য, রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত গ্যাস সংস্থা গ্যাজপ্রম পাইপলাইনে চলছে মেরামতির কাজ। ৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হবে এই গ্যাসের সরবরাহ। তারপরেই কার্যত মাথায় হাত পড়েছে পশ্চিমা দেশগুলির। তারা মনে করছে, এর ফলে গ্যাসের দাম সেই সকল দেশে আরও বাড়তে পারে। ফলে মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কাও অমূলক নয়। তারপরেই পশ্চিমা দেশগুলোর তরফ থেকে উঠছে প্রশ্ন। এটা রাশিয়ার পরিকল্পনা নয় তো?
অবশ্য এই প্রশ্নটা ওঠা খুব একটা আশ্চর্যের কিছু নয়। কারণ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য আমেরিকা যখন গর্জে ওঠে, তখন রাশিয়া কিন্তু বুড়ো আঙুল এমনিই দেখিয়েছিল। মনে মনে হেসেছিলেন পুতিন! কারণ, রাশিয়া জানে রাশিয়া কি করতে চায়। অতএব, বেশি ট্যাঁফু করলে, জ্বালানি সরবরাহে একটা কেটে দেওয়া অসম্ভব কিছু নয়। কারণ ঐ যে বললাম, জ্বালানি সরবরাহ বন্ধ করলে, ঐ সব দেশে এমনিই মূল্যবৃদ্ধি হবে। এমনিতেই ইউরোপের ১৯টা দেশে ইনফ্লেশন রেট জুনে বেড়ে গিয়েছিল ৯.১%। এখন কিছুটা মাথা নোয়ালেও সেটা একেবারেই স্বস্তির কিছু নয়। আর রাশিয়া যদি এভাবে মনে হলেই পাইপলাইন মেরামতির দোহাই দিয়ে মাঝেমধ্যে গ্যাস সরবরাহ বন্ধ করে দেয়, তাহলে কিন্তু চাপ বাড়বে ইউরোপের। আর হাসি ধরে রাখবে সেই পুতিন। জার্মানি বলছে, পাইপলাইনে কোন ত্রুটি নেই। পুরোটাই রাশিয়ার পরিকল্পনা। আদৌ কি তাই? প্রশ্নটা ছুঁড়ে দিলাম আপনাদের কাছে। মতামত দিন কমেন্ট বক্সে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ