দীর্ঘ ২৩ বছরের বিরতি। অবশেষে বক্সার জঙ্গলে দেখা পাওয়া গেল দক্ষিণরায়ের। বাঘের খবর চাউর হতেই পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু করল উত্তরবঙ্গের বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পে।

১৯৯৮ সালে শেষবারের জন্য বক্সায় বাঘের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। এরপর বন দফতরের পক্ষ থেকে বারবার বাঘের উপস্থিতির কথা জানানো হলেও পর্যটকদের নজর এড়িয়েই ছিল দক্ষিণরায়। ক্রমশ সাধারণ মানুষের মনেও বক্সাতে বাঘের উপস্থিতি নিয়ে উঠেছিল প্রশ্ন। অবশেষে গত ১১ তারিখে রাত ১২টা নাগাদ ও রাত ৩টে নাগাদ দু’বার বন দফতরেরই পাতা ক্যামেরায় ধরা দিলেন তিনি। এত বছর পরে বক্সার জঙ্গলে বাঘের দেখা পাওয়ায় কার্যত খুশির হাওয়া বন দফতর থেকে পর্যটকদের মধ্যে।

বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা বুদ্ধরাজ সেওয়া জানান দীর্ঘ দিন বাদে আবার বাঘের দেখা পাওয়া গেলো এটা বন দপ্তরের কাছে খুব খুশির খবর। বাস্তুতন্ত্রের উন্নতি যে হচ্ছে সেটাও বেশ পরিষ্কার হচ্ছে। ২৪ ঘণ্টা মনিটরিংয়ের জন্য রাখা হয়েছে একটি টিম।

পর্যটকদের ঢল নামায় খুশির হাওয়া পর্যটন ব্যবসায়ীদের মনে। অনেকদিন পর আবার বক্সায় বাঘ দেখতে পাওয়ার খবরে পর্যটকদের পা পড়তে শুরু করে দিয়েছে। আবারো ঘুরে দাঁড়াচ্ছেন পর্যটনব্যবসায়ীরা।

উত্তরবঙ্গের বক্সার জঙ্গল বিখ্যাত বাঘের জন্য। কিন্তু এতদিন বাঘের দেখা না পেয়ে কার্যত পর্যটকদের মনেই বক্সায় বাঘ নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছিল। অবশেষে সব রহস্যের সমাধান করে দিলেন দক্ষিণরায় নিজেই। পর্যটন ক্ষেত্রের বেহাল অবস্থার ছবিটাই করোনার পরে তৈরি হয়েছিল। এমন অবস্থায় দাঁড়িয়ে বাঘের খোঁজ যেন উত্তরবঙ্গের পর্যটন ক্ষেত্রে ঘি ঢেলে দিল অনেকটাই। আবারো পর্যটকদের ঢল নামবে। আবারো ফিরে আসবে পর্যটন ব্যবসার চেনা ছবিটা। অনেকদিন পর পর্যটন ব্যাবসায়ী থেকে শুরু করে টুরিস্ট গাইড ,জিপসি চালক সকলের মধ্যেই খুশির জোয়ার। সবার মুখে এখন শুধু একটাই গল্প- বক্সায় দেখা পাওয়া গিয়েছে বাঘের।

অভিজিৎ চক্রবর্তী
আলিপুরদুয়ার