Trending

একদিকে কংসাবতী। অন্যদিকে রূপনারায়ণ। এই দুই নদী সংলগ্ন মাটির চরিত্র দু’রকম। আর এই দুই এলাকার মাটি একসঙ্গে মিশে যাওয়ায় তা গোলাপ চাষের জন্য আদর্শ হয়ে উঠেছে। ফলে পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়া গোলাপ চাষের জন্য বেশ সুনাম কুড়িয়েছে। এখানকার বহু কৃষকবন্ধু তাঁদের বিস্তীর্ণ চাষজমিতে এই গোলাপের চাষ করছেন।
গোলাপ চাষীদের আয় সারা বছর মোটের উপর একরকম থাকলেও ফেব্রুয়ারি মাসে ফুলের চাহিদা ওঠে একেবারে তুঙ্গে। কারণটা সকলেরই জানা। ১৪ই ফেব্রুয়ারি ভ্যালেনটাইন্স ডে। আর এই দিনেই গোলাপের বিক্রি পৌঁছয় একেবারে চরমে। কিন্তু সমস্যার সূত্রপাত এখান থেকেই। পাঁশকুড়া ব্লকের মাইসোরা,নস্করদিঘি, পূর্বগুড়তলা সহ একাধিক গ্রামের অসংখ্য গোলাপ চাষিরা হঠাৎই লক্ষ্য করেন তাঁদের চাষ করা গোলাপ ফুলে ধরছে পচন। বিঘের পর বিঘে জমি এভাবেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। চাষিরা প্রথমে স্থানীয় কীটনাশকের দোকানে গিয়ে বিভিন্ন ওষুধপত্র কিনে আনলেও সেভাবে কোন কাজ হয়নি। ফলে চাষিদের মাথায় পড়েছে বাজ।
অবশেষে সমস্যার সমাধানে এগিয়ে আসেন বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষিবিজ্ঞানীরা। তাঁরা গোলাপের রোগসমস্যার কারণ এবং তা নিয়ন্ত্রণের বিষয়েও আলোচনা করেন। তাঁরা এটিকে ছত্রাকঘটিত রোগ বলেই বিবেচনা করেছেন। আলোচনা করেছেন চাষিদের সঙ্গেও। তবুও কৃষকবন্ধুদের চিন্তা। আদৌ কি গোলাপ গাছগুলিকে বাঁচানো সম্ভব? এই বিষয়ে চাষিদের পরামর্শ দিলেন পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কৃষিদপ্তরের শষ্যসুরক্ষা বিভাগের আধিকারিক ড. মৃনাল কান্তি বেরা। কি বললেন তিনি। শুনে নেওয়া যাক।
এখানকার বিখ্যাত প্রজাতি মিনি পার্লে গোলাপ রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা সহ পৌঁছে যায় দিল্লি, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মুম্বই সহ একাধিক রাজ্যে। এমনকি ভুটান, নেপালেও সরবরাহ করা হয় এই মিনি পার্লে প্রজাতির গোলাপ। তবে যেভাবে গোলাপ চাষের ক্ষতি হচ্ছে তাতে আসছে ভ্যালেনটাইন ডে’র বাজার ধরবার জন্য ভিনরাজ্যের গোলাপের ওপর নির্ভর করতে হবে বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর