Agriculture news
ইট-কাঠের ভিড়ের ঠেলায় ক্রমেই দূরে সরছে সবুজ। তবু, শিকড়কে আঁকড়ে ধরে রাখার প্রানপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন কিছু মানুষ। রান্নাঘরের জানলায়, ব্যলাকনিতে অথবা সাধের ছাদে একফালি বাগান। কিছুই না। ধূসর পৃথিবীর বুকে সবুজটুকু ধড়ে রাখা। ছাদবাগান। আজকদের দিনে দাঁড়িয়ে এই শব্দটার সঙ্গে আমরা কমবেশি সকলেই পরিচিত। শৌখিনতার সীমানা পেরিয়ে এই ছাদবাগান এখন মধ্যবিত্তের বড় ভরসার জায়গা। অন্তত এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে তো বটেই।
তবে, বাহারি ফুল কিংবা ফলের গাছে অথবা সবজির বিভিন্ন গাছ দিয়ে ছাদবাগানকে সাজানোর কথা প্রায়শই শোনা যায়। আজ আপনাদের সঙ্গে পরিচয় করাব এমন এক দম্পতির যারা রেয়ার ভেষজ গাছ দিয়ে সাজিয়েছেন তাদের সাধের ছাদবাগান। প্রায় ৬০০০ প্রজাতির ফুল ফল ভেষজ ঔষধ সহ মশলার গাছ লাগিয়েছেন উত্তর দিনাজপুরের এই দম্পতি। নিয়ম করে পরিচর্যাও করেন তারা।
গাছ তাদের কাছে সন্তানের মত। তাই প্রতিদিনের রোজনামচা সেরে গাছের পরিচর্যা করতে তাদের কারোরই ক্লান্ত লাগে না। শুধু নিজেরাই নয়, আশে-পাশে বহু মানুষের মধ্যেও গাছ দিয়ে ছাদ সাজানোর নেশা ধরিয়ে দিয়েছেন তারা। তাদের কাছ থেকে ইউনিক গাছ নিয়ে গিয়ে অনেকেই পরিচর্যা শুরু করেছেন। বাদলবাবু নিজে গিয়ে সেসব গাছ মাঝে-মধ্যে পরিদর্শনও করে আসেন।
ছাদবাগানে ইউনিক গাছ লাগানয় আশেপাশের এলাকায় ভালো সাড়া পাচ্ছেন এই দম্পতি। কিছু মানুষজন তাদের থেকে গাছের চারা কিনে নিয়ে গিয়ে নিজের মত করে সাজিয়ে তুলছেন তাদের ছাদ। আবার সময়ে অসময়ে প্রয়োজন পরলে পরামর্শও দিচ্ছেন বাদলবাবু। প্রথার বাইরে বেরিয়ে এমন উদ্যোগ সত্যি উদাহরণ তৈরি করেছে উত্তর দিনাজপুর জেলায়।
অনুপ জয়সয়াল
উত্তর দিনাজপুর