Daily

দেশটা ছেয়ে গেছে হাই রাইজ বিল্ডিং-এ। নেই চাষাবাদের জন্য প্রয়োজনীয় জমি। তাই বাধ্য হয়েই নির্ভর করতে হচ্ছে অন্যান্য দেশের ওপর। কিন্তু এইভাবে আর কতদিন? অতএব কমাতে হবে আমদানি। আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে করতে হবে চাষাবাদ। কোথায়? কেন বিল্ডিং-এর ছাদে। কথাটা শুনতে অবিশ্বাস্য ঠেকলেও এটাই সত্যি।
সিঙ্গাপুরের মায়া হরি বা বিয়র্ন লো। এরাই আজ বদলে দিতে চলেছেন সিঙ্গাপুরের কৃষিভিত্তিক অর্থনৈতিক পরিকাঠামো। কারণ ইচ্ছা, জেদের বশেই বহুতল বিল্ডিংগুলোর ছাদে চাষ করছেন মরিচ, বেগুন, কলা, পেঁপের মত বহু শাক সব্জি। শুধু ছাদে নয়, চাষ করছেন বিল্ডিং-এর বারান্দাতেও। পুষ্টিকর দ্রবণ, সূর্যের বদলে এলইডি আলো এবং পরীক্ষা নিরীক্ষার মাধ্যমে ফলাচ্ছেন আনাজ, ফল। তাঁদের এই প্রচেষ্টাকে সমর্থন জানিয়ে সরকারও উঠেপড়ে লেগেছে। অদূর ভবিষ্যতে একটি আট তলা বিল্ডিং-এ মাছ চাষ করা হবে বলেও জানা গেছে।
বর্তমানে এই দেশের মাত্র এক শতাংশ মাটি কৃষিকাজের জন্য উপযুক্ত। তাই আমদানি ব্যতীত অন্য কোন পথও এই সরকারের কাছে খোলা ছিল না। কিন্তু এখন কৃত্রিম উপায়ে তৈরি আনাজ থেকে মাছ সবই চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন কৃষিক্ষেত্রে। তাঁদের দাবি, এই সব ফসলই পুষ্টিগুণে টেক্কা দেবে জমিতে ফলানো ফসলকেও। ফলে আগে যারা করতেন তাচ্ছিল্য, এখন তারাই করছেন প্রশংসা। বিশ্ব বাজারে সিঙ্গাপুর কৃষিক্ষেত্রেও রাখতে চলেছে অনন্যতার ছাপ।
ব্যুরো রিপোর্ট