Daily
মাংস নয়। ডিমের চাহিদা পূরণ করবে প্রত্যেকটি পরিবারকে। ফলে অপুষ্টির শিকার হতে হবে না আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলিকে। একইসঙ্গে তাঁরা ডিম বিক্রি করেও দেখতে পাবেন আয়ের মুখ। আপাতত সেই লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামল প্রাণী সম্পদ দফতর। তুলে দেওয়া হল আরআইআর প্রজাতির মুরগি বা রোড আইল্যান্ড রেড প্রজাতির মুরগি।
সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট ব্লকে ৫০০ জনেরও বেশি পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় আরআইআর প্রজাতির মুরগি। প্রতি পরিবার পিছু দেওয়া হয় দশটি করে মুরগির বাচ্চা। প্রাথমিকভাবে ৩১২ জনের হাতে তুলে দেওয়া হলেও, আগামিতে আরও ২২৩ জনের হাতে মুরগির বাচ্চা তুলে দেবে প্রাণী সম্পদ দফতর। সঠিকভাবে প্রতিপালন করতে পারলে, পরিবারে ডিমের অভাব তো পূরণ হবেই। একইসঙ্গে বাড়তি ডিম বিক্রি করে ভালোরকম আয়ের মুখ দেখতে পারবেন তাঁরা। ফলে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া মানুষগুলি নতুন করে পাবেন আয়ের দিশা।
মাংসের জন্য আরআইআর প্রজাতিকে ব্যবহার করা হয় না। বছরে ২০০-র বেশি ডিম পাওয়া গেলে, সেক্ষেত্রে একটি পরিবারকে অপুষ্টির হাত থেকে বাঁচানো অনেকটাই সহজসাধ্য হবে। তাঁরাও সেই ডিম বাজারে বিক্রি করতে পারবেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাণী সম্পদ বিভাগের এই উদ্যোগ মুরগি পালকদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে। তবে এখানেই শেষ নয়। প্রাণী সম্পদ দফতর ভবিষ্যতে আরও কিছু উদ্যোগ নিয়েছেন। সেই প্রকল্পটিও খুব তাড়াতাড়ি বাস্তবায়ন করার জন্য কোমর বাঁধছে প্রাণী সম্পদ দফতর। জানা যাচ্ছে, আগামী বছরে প্রায় ১৩০০ মুরগির বাচ্চা দেওয়া হবে। এছাড়া দেওয়া হবে হাঁসের বাচ্চা। কোলাঘাট ব্লক থেকে জেলা পরিষদ এবং ব্লক মিলিয়ে মোট ২৩৪ জনকে খাকি ক্যাম্পবেল হাঁসের বাচ্চা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে প্রাণী সম্পদ দফতর।
প্রসূন ব্যানার্জী
পূর্ব মেদিনীপুর