Trending

মনে পড়ে বিখ্যাত গানের লাইনটা। আমি যে রিকশাওয়ালা, দিন কি এমন যাবে…
দিনটা এমনই যাচ্ছে ওদের। অস্তিত্ব সংকটে ভুগছেন জেলার অধিকাংশ রিকশাচালক। অথচ কয়েক হাজার মানুষের রুটিরুজি নির্ভর করে এই রিকশাকে কেন্দ্র করে।
সিটি অফ জয়ের ফরাসি লেখক দামিনীক নাপিয়ের সেই কত বছর আগে তুলে ধরেছিলেন রিকশাওয়ালাদের অস্তিত্ব সংকটের কাহিনী। এবার তো একেবারে প্রকট হয়ে পড়ল জেলা সদরসহ বাংলার অন্যান্য প্রান্তেও।
একদিকে যখন শহরের পথেঘাটে দৌরাত্ম্য বেড়েছে টোটো এবং মোটর ভ্যানের, তখন সিঁদুরে মেঘ দেখছেন ভ্যান রিকশা চালকরা। যাত্রীর অভাবে কার্যত ধুঁকছে তাঁদের রোজগার। ক্রমশই কঠিন হয়ে উঠছে সংসার চালানো।
কেউ এই পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন ২৫ বছর। কেউ আবার ৩০ বছর। আগে রোজগার খুব একটা খারাপ না হলেও টোটো এবং মোটর ভ্যানের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে ক্রমশ খেই হারিয়ে ফেলছেন তাঁরা। তার উপর লকডাউনের থাবা তো রয়েছেই।
পায়ে চালানো ভ্যান রিকশা গতি হারাচ্ছে টোটো এবং মোটর ভ্যানের কাছে। কখনও সকাল থেকে বসে থাকলেও পাওয়া যাচ্ছে না যাত্রীর দেখা, কখনও আবার পাওয়া গেলেও তাঁরা সেই পরিচিত যাত্রীরাই। যারা ভ্যান রিকশা করেই যাতায়াতের অভ্যাস করে ফেলেছেন। কিন্তু সেই সংখ্যাটাই বা আর কত? ফলে আয়ের পথে নেমেছে ভাটা।
একদিকে মূল্যবৃদ্ধির দাপটে কার্যত চোখে সর্ষেফুল দেখছেন সাধারণ মানুষ। এরই মধ্যে উপার্জন ক্রমশ তলানিতে এসে ঠেকায় এখন সংসার চালানো দায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে ভ্যানরিকশা চালকদের। এমনই দাবি জানাচ্ছেন বারাসাতের ভ্যান রিকশা চালকরা।
সৌদীপ ভট্টাচার্য
উত্তর ২৪ পরগনা