দেশে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে পড়ছে বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ। আর এই বন্যপ্রাণ সংরক্ষণের জন্য সরকারের পাশাপাশি এগিয়ে এসেছে এমনই বহু বিত্তশালী অল্পবয়সীরা যাদের আর্থিক অনুদান বন এবং বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে জ্বালানী হিসেবে কাজ করছে।

সূত্রের খবর, গত পাঁচ বছরে এই পরিবারগুলির আর্থিক অনুদানের অঙ্কটা বেড়ে গিয়েছে পাঁচ গুণ। যার দরুন বনের প্রাণীদের সংখ্যা আবারও মাথা তুলে দাঁড়াতে পারছে। তার মধ্যে যেমন রয়েছে বিভিন্ন ধরণের গাছ তেমনই রয়েছে বিলুপ্তপ্রায় বিভিন্ন প্রাণি। এশিয়াটিক সিংহ, বাঘ, স্নো লেপার্ড, এক শৃঙ্গওলা গণ্ডার, ঘরিয়াল, গাঙ্গেয় ডলফিন সহ বিভিন্ন বন্যপাখিদের সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়ানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। আর এই গোটা কর্মকাণ্ডটাই সম্ভব হচ্ছে বিত্তশালী মানুষগুলির আর্থিক অনুদানের কারণে।

সূত্রের খবর, সংরক্ষণের জন্য কোন কোন ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্যের অঙ্কটা লাখ থেকে কোটিও ছাড়িয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ভারতে রয়েছে ১৩২ প্রজাতির গাছ যা মানুষের অসচেতনতার কারণে বিপন্নতার শিকার। বিলুপ্তির পথে রয়েছে অন্যান্য প্রাণীও। তার মধ্যে এশিয়াটিক লায়নের সংখ্যা রয়েছে ৬৫০। স্নো লেপার্ডের সংখ্যা ৫০০ এবং একশৃঙ্গ গণ্ডারের সংখ্যা রয়েছে ২ হাজারের মত। এমনকি ঘরিয়ালের সংখ্যাও কমতে কমতে দাঁড়িয়েছে ৬০০ থেকে ৯০০-র মধ্যে।

কেন্দ্রীয় সরকার বন এবং বন্যপ্রাণ সংরক্ষণে বিশেষভাবে নজর দিলেও পরিস্থিতির শিকার হয়েছে বন্যপ্রাণীরা। জানা গিয়েছে, ৭০ সালের পর থেকে গোটা বিশ্ব জুড়েই বন্যপ্রাণের সংখ্যা কমেছে ৬৫ শতাংশেরও বেশি। এর মধ্যেই সচেতনতার বার্তা ছড়িয়ে দেবার জন্য একইসঙ্গে আর্থিক অনুদানের গতি মসৃণ থাকার জন্য বন এবং বন্যপ্রানের সংরক্ষণে যে ছন্দপতন ঘটবে না সেই আশাতেই বুক বাঁধছেন পরিবেশপ্রেমী থেকে বন্যপ্রাণ সংরক্ষকরা।

ব্যুরো রিপোর্ট