Daily

রাজ্যের শুখা জেলা পুরুলিয়া। যার বেশিরভাগ জমিই একফসলি। মানে, চাষবাস হয় বৃষ্টিপাতের উপর নির্ভর করে। কিন্তু যে জেলার গোটা অর্থনীতিটাই এই কৃষিনির্ভর, সেখানে বছরে মাত্র একবার চাষ হলে, অর্থনীতির চাকা ঘুরবে কীভাবে? তাই জেলার অর্থনীতির ভীত মজবুত করতে কৃষিকাজের পাশাপাশি প্রাণীপালনের দিকটাতেও বিশেষ মনোযোগ দিয়েছেন পুরুলিয়া জেলার মানুষ।
পুরুলিয়া জেলা জুড়ে হাঁসের মাংসের একটা বেশ ভালো রকমের ক্রেজ রয়েছে। যেকারণে পুরুলিয়া জেলার অধিকাংশ বাড়িতে আর কিছু থাকুক না থাকুক, দু-চারটে হাঁস আপনি লক্ষ্য করবেনই। তবে এগুলো প্রত্যেকেই দেশী হাঁস। যাদের ডিম দেওয়ার প্রবণতা, তুলনায় কম। কাজেই সেখান থেকে উপার্জন খুবই সামান্য। তাই এখানকার মানুষদের উপার্জনের দিকটা সুনিশ্চিত করতে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে হাঁস প্রতিপালনের দিকে নজর দিয়েছে প্রাণীসম্পদ উন্নয়ন বিভাগ। শুধু তাই নয়। সিঁদুরপুর মাটির সৃষ্টি প্রকল্পের এলাকায় প্রায় তিনটি স্বনির্ভর দলের মহিলাদের উন্নত প্রজাতির অর্থাৎ খাকী ক্যাম্পবেল বা রানার প্রজাতির হাঁসের বাচ্চা বিতরণ করেন প্রাণী সম্পদ বিভাগের আধিকারিকরা।
সাধারণ দেশীয় প্রজাতির হাঁসের থেকে এই উন্নত প্রজাতির হাঁস অনেক বেশি সংখ্যক ডিম দিতে পারে। তাই যদি একটু যত্ন নিয়ে বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে এই হাঁস প্রতিপালন করা যায়, তাহলে কম সময়ে অনেক বেশি লাভবান হতে পারবেন হাঁস প্রতিপালকরা। কীভাবে এই হাঁস প্রতিপালনের পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা?
আগামীদিনে এই ধরণের প্রকল্পকে আরও বৃহত্তর করার ব্যাপারে আশাবাদী এখানকার আধিকারিকরা। হাঁস প্রতিপালনের ক্ষেত্রে ঠিক কীভাবে সাপোর্ট করছেন প্রাণীসম্পদ আধিকারিকরা? জেনে নেব।
প্রাণীসম্পদ বিভাগের তরফে উন্নত প্রজাতির হাঁস পেয়ে যথেষ্ট খুশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা। সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে প্রতিপালন করলে আয়ের অঙ্কটাও হবে বেশ ভালোই। তাই এখন বিশেষজ্ঞদের কথা মেনে হাঁস প্রতিপালনে মনযোগী হয়েছেন তারা।
প্রাণীসম্পদ বিভাগের এই ধরণের উদ্যোগের ফলে স্বাবলম্বী হবেন এলাকার মহিলারা। যার ফলে আগামীদিনে বদলে যেতে চলেছে পুরুলিয়ার সিঁদুরপুরের অর্থনৈতিক ছবিটা।
সন্দীপ সরকার
পুরুলিয়া