Market

করোনা মোকাবিলায় চিকিৎসকেরা স্বাস্থ্যের দিকে বেশি মনোযোগী হবার পরামর্শ দিচ্ছেন। যার মধ্যে ফলাহার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাভাবিকভাবেই ফলের চাহিদা এখন তুঙ্গে উঠেছে। এই বছর আম সহ অন্যান্য ফলের জোগানে যেমন ঘাটতি নেই তেমনই বিক্রেতার অভাবও নেই। কিন্তু মাঝে খলনায়ক হয়ে দাঁড়াচ্ছে লক ডাউনের টাইমিং। যে কারণে ফলের জোগান, চাহিদা থাকলেও সময়ের অভাবে বিক্রি হচ্ছে না বহু ফল। অত্যধিক গরমে সেই সব ফল থাকছেও না। নষ্টও হয়ে যাচ্ছে পড়ে থেকে। একেই ভাইরাসের থাবায় লাভের অঙ্ক তলানিতে, তার ওপর এই ক্ষতির খাঁড়া। ফলে উপায়ান্তর না দেখে শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই ব্যবসায়ীদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ইমেল করে আরও বেশি সময় দোকান খুলে রাখার আর্জি জানান হয়।
উল্লেখ্য, এই লক ডাউনে অন্যান্য দোকানের মতন সকাল ৭টা থেকে ১০টা পর্যন্ত খোলা থাকছে ফলের দোকান। এদিকে মিষ্টির দোকান খুলে রাখার জন্য অনেকটা বেশি সময় বেঁধে দিয়েছে রাজ্য সরকার। তাই ব্যবসায়ী সংগঠনের দাবি ফলের দোকানও খুলে রাখার সময়সীমা বাড়ানো হোক।
বিক্রেতারা জানাচ্ছেন, এই বছর আম, মুসাম্বি, লিচু, পেয়ারার চাহিদা ভালোই রয়েছে। দামও মধ্যবিত্তের সাধ্যের মধ্যে। কিন্তু সময়ের অভাব যেন কার্যত ফল বিক্রির ওপর বড়সড় কোপ মারল। গড়িয়াহাট থেকে মেছুয়াপট্টি- সর্বত্র একই দৃশ্য। এখন রাজ্য সরকার ফল ব্যবসায়ীদের ইমেলে সাড়া দেয় কিনা সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্যের হাজার হাজার ফল বিক্রেতা।
ব্যুরো রিপোর্ট