Daily

সংক্রমণের ভয়াবহতা ডেকে এনেছে লকডাউন। বন্দী দশায় চূর্ণ – বিচূর্ণ হয়েছে রাজ্যের ক্ষুদ্র – মাঝারি থেকে শুরু করে বৃহৎ – শিল্পের প্রতিটি খাত। বন্দিদশায় কার্যত শিরদাঁড়া ভেঙেছে প্রতিটি শিল্পের। আর সংক্রমণের দাপট বরাবরই দুর্ভেদ্য প্রাচীর হয়ে দাঁড়িয়েছে, ব্যবসা ঘুরে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে। এবার তাই হোটেল শিল্পের পর প্রধানমন্ত্রীর দারস্থ হলো পর্যটন শিল্পও। আর্থিক ত্রাণের আশায়।
পর্যটন সংস্থাগুলিকে অক্সিজেন যোগাতে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এককালীন সাহায্যের আর্জি জানিয়েছে ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশন অব টুর অপারেটর্স। তাদের দাবি, ভারতে অন্তত কিছুটা শিথিল করা হোক পর্যটনের নিয়ম। এমনিতেই কোটি কোটি টাকার লোকসানের চলছিল পর্যটন ব্যবসা। কাজ হারিয়েছেন বহু মানুষ। সেখানে তৃতীয় ঢেউ উপচে পড়ায় নিষিদ্ধ হয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। ফলে এবার ব্যবসার শিরে সংক্রান্তি দশা। সংক্রমণ রোখার পদক্ষেপ করেও বিকল্প ব্যবস্থায় ব্যবসার কিছুটা অন্তত চালু রাখার কাতর আর্জি জানিয়েছে শিল্প মহল। নয়তো রুগ্ন এই ব্যবসার পরবর্তী হাল আর দেখার মত থাকবে না।
শিল্প মহলের কর্তাদের আর্জি, কেন্দ্র অন্তত ২০১৯-২০ সালে ব্যবসার অঙ্কের প্রেক্ষিতে সংস্থাগুলিকে আর্থিক সাহায্য দিক। ওই বছর কর্মীদের বেতন খাতের ৭৫% এককালীন অনুদান হিসাবে দেওয়া হোক বলেও দাবি জানান তাঁরা। তাতে সংস্থাগুলি ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে অন্তত কিছুটা বাঁচার অক্সিজেন পাবে।
ব্যুরো রিপোর্ট