Share Market
তৈরি থাকুন, এবার শেয়ার বাজারে আলোড়ন ফেলতে চলেছেন রিলায়েন্স চিফ মুকেশ অম্বানি। দেশের সর্ববৃহৎ আইপিও আনার তোরজোড় শুরু হচ্ছে শীঘ্রই। সেইমত প্রস্তুতি নিচ্ছেন খোদ রিলায়েন্স চিফ। সব ঠিক থাকলে শেয়ার বাজারে আসতে রিলায়েন্স জিও-র আইপিও। অনেকেই বলছেন যে, জিও আইপিও নিয়ে এলে যে সেটা দেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ হবে সেটা নতুন করে বলার কিছু নেই। মনে করা হচ্ছে, আইপিও যখন আনা হবে তখন রিলায়েন্স জিও-র ভ্যালুয়েশন দাঁড়াতে পারে ১০০ বিলিয়ন ডলারে। ভারতীয় মুদ্রায় অঙ্কটা পৌঁছে যেতে পারে ৮.৩২ লক্ষ কোটি টাকায়।
বর্তমানে জিও হচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ নন লিস্টেড টেলিকম কোম্পানি যার বয়স মাত্র ৮ বছর। ২০১৬ সালে যখন প্রথম রিলায়েন্স জিও নিয়ে হাজির হয়, তখন ভারতের টেলিকম জগতে কার্যত আলোড়ন তৈরি হয়ে যায়। ২০২০ সালে এরপর গুগল, ফেসবুক সহ বিশ্বের তাবড় তাবড় সংস্থার কাছে জিও-র শেয়ার বিক্রি করাও হয়। দেশের ১৩টি প্রথম সারির সংস্থার কাছেও শেয়ার বিক্রি করেছিল জিও। বর্তমানে ভারতের টেলিকম ইন্ডাস্ট্রিতে কার্যত একচ্ছত্র অধিপতি হিসেবে নিজেকে বসিয়েছে রিলায়েন্স জিও। যার ফলে রিলায়েন্স জিও-র আইপিও লিস্টিং-এ পাওয়া গিয়েছে গ্রিন সিগন্যাল। মনে করা হচ্ছে, এই পদক্ষেপ নেবার পর জিও নিজের ব্যবসাকে আরও সম্প্রসারিত করবে।
তবে কোন দিনে জিও নিজের আইপিও নিয়ে আসবে এই বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি কোম্পানির তরফ থেকে। জল্পনা বলছে, জিও-র আইপিও-র প্রতিটা শেয়ারের দাম রাখা হতে পারে ১২০০ টাকা। এই মুহূর্তে রিলায়েন্স জিও-র ভ্যালুয়েশন রয়েছে প্রায় ৮২ থেকে ৯৪ বিলিয়ন ডলার মত। যেটা নির্বাচনের পরে বেড়ে দাঁড়াতে পারে প্রায় ১০০ বিলিয়ন ডলারে। এয়ারটেলের ভ্যালুয়েশন বর্তমানে রয়েছে ৭.৭৮ লক্ষ কোটি টাকায়। এবার জিও যদি আইপিও লিস্টিং করে তাহলে কি আপনি সেদিকে মন দেবেন? অবশ্যই পরামর্শ করে নেবেন আপনার ফিনানশিয়াল অ্যাডভাইজারের সঙ্গে।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ