রেখা পাত্রের এক চালে এবার ভালোরকম চাপে পড়েছে রাজ্যের শাসকদল। সামনে এল হাইকোর্টের বড়ো ফয়সালা। বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের যাবতীয় নথি এবং সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। সাফ জানিয়ে দিয়েছে কোলকাতা হাইকোর্ট। রেখা পাত্রের এই চালেই কি তবে এবার কুপোকাত হতে পারে শাসকদল?

বসিরহাটের বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্রের ইলেকশন পিটিশন মামলায় নির্দেশিকা জারি করেছে কোলকাতা হাইকোর্ট। জানানো হয়েছে যে, বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের প্ররাথিদের যাবতীয় নথি, নির্বাচনের ভিডিও ফুটেজ এমনকি সিসিটিভি ফুটেজও সংরক্ষণ করতে হবে। নতুন করে নির্বাচনের দাবিতে মামলা করেন রেখা পাত্র। সেই মামলার নিরিখেই এই নির্দেশ দিল কোলকাতা হাইকোর্ট। আগামী ৪ সেপ্টেম্বর এই মামলার পরবর্তী শুনানি। কি বলেছেন রেখা পাত্রের আইনজীবী বিল্বদল ভট্টাচার্য, শোনাব আপনাদের।

বাইটঃ বিল্বদল ভট্টাচার্য, রেখা পাত্রের আইনজীবী

নির্বাচনে পরাজিত হয়েও একফতা মনের জোর হারাননি সন্দেশখালির প্রতিবাদী মুখ রেখা পাত্র। লোকসভা নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। আর সেই অভিযোগ নিয়েই হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছিলেন তিনি। অভিযোগের আঙ্গুল তুলেছিলেন রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে। সাফ জানিয়েছিলেন যে বসিরহাতের লোকসভা নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। বিজয়ী তৃণমূল প্রার্থী হাজী নুরুল ইসলাম-এর নির্বাচনী নথির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। এরপরই সেই নথি যাচাই করার দাবি তোলেন রেখা। একইসঙ্গে বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে পুনরায় নির্বাচনের দাবি তোলেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ভোটের আগেই হাজি নুরুলের মনোনয়ন নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। বসিরহাট কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের প্রার্থীপদ বাতিল হওয়া উচিত বলে দাবি করেছিল বিজেপি। তাঁর নো ডিউজ সার্টিফিকেট দেওয়ার শেষ সময় পেরিয়ে গেলেও তা জমা দেননি তিনি, এমনই অভিযোগ তুলেছিল গেরুয়া শিবির। আদালতে গিয়ে রেখা পাত্র জানিয়েছেন, ভোটের নিয়ম ভেঙেছেন হাজি নুরুল, সেই কারণেই এই মামলা করেছেন তিনি।

রেখা পাত্রের দায়ের করা ইলেকশন পিটিশন মামলায় বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রের সমস্ত নির্বাচনী নথি সংরক্ষণের নির্দেশ দিলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি কৃষ্ণা রাও৷ বিচারপতি কৃষ্ণা রাও জানিয়েছেন, রেখা পাত্র যে ইলেকশন পিটিশন দায়ের করেছেন, তা আদালত গ্রহণ করছে । ৪ সেপ্টেম্বর শুনানি করা হবে। ইতিমধ্যে ওই কেন্দ্রের সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ, ভিডিও ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলকে নির্বাচন কমিশন-সহ এই মামলার সমস্ত পক্ষকে নোটিশ পাঠাতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। নির্বাচন কমিশন, তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলাম-সহ মোট ১৬ জনকে এই মামলায় পক্ষ করা হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে৷

নির্বাচনের হার রেখা পাত্রকে মানসিকভাবে বিধ্বস্ত করতে পারেনি। আর তাই নির্বাচনী কারচুপির অভিযোগ তুলে সটান কোলকাতা হাইকোর্টের দারস্থ হয়েছেন তিনি। রেখা পাত্রের এই চালেই কার্যত খেলা ঘুরে যেতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে শুধুই নির্বাচনী কারচুপিকে সকলের সামনে তুলে ধরতেই কি রেখা পাত্রের এই রনং দেহী ভাবমূর্তি নাকি এর পিছনে অন্য কোন রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে? এই নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকেই। আপনাদের কি মনে হয়? জানান কমেন্ট বক্সে। সঙ্গে দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।