Trending
সরকারী প্রকল্পের আড়ালে চলছে কোটি কোটি টাকার প্রতারনা। বড়সড় প্রতারনা চক্রের হদিশ খোদ বাংলায়। পুলিশ প্রশাসন নাকি কিছুই জানতেন না। সরকারী প্রকল্পের আড়ালে থাকা প্রতারনাচক্রের হদিশ নেই স্বয়ং সরকারের কাছে। কীভাবে কাজ চালাত সেই প্রতারনা চক্র? কার মদতে কাজ চলত? জানাব বিস্তারিত।
শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি, রেশন দুর্নীতি, চাকরির নামে প্রতারনা, দুর্নীতি, দুর্নীতি- শুধুই দুর্নীতি। দিনে দিনে বাংলার বুকে দুর্নীতির কালো ছাপ যেন আরও বেশি করে স্পষ্ট হচ্ছে। আর এবার সরকারী প্রকল্পের আড়ালে থাকা চরম প্রতারণার পর্দাফাঁস। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির কথা সামনে এল। রাজ্যের, মুখ্যমন্ত্রী সর্বোপরি প্রশাসনের নাকের ডগা দিয়ে কিবাহবে সরকারী প্রকল্পের নামে প্রতারনা চলছে? কাদের মদত রয়েছে এর পিছনে? কেন হাত-পা গুটিয়ে বসে রয়েছে প্রশাসন।
সরকারী প্রকল্প আনন্দধারা। আর সেই প্রকল্পের আড়ালেই চলছে কোটি কোটি টাকার প্রতারনা। প্রতারিত ব্যক্তিরা সকলেই ভিন রাজ্যের ব্যবসায়ী। এখানেই আরও একটা মজার বিষয় আছে জানেন তো? সরকারী প্রকল্পকে সামনে রেখে তার পিছনেই কোটি কোটি টাকার প্রতারনা চলছে। আর সরকার বলছেন নাকি সেই বিষয়ে তারা কিছুই জানেন না। সত্যিই, বেশ মজার বিষয় কিন্তু বলুন! এমনকি পুলিশ-প্রশাসন পর্যন্ত এই বিষয় নিয়ে কিছুই জানেন না।
তবে খবর সামনে আসতেই ১০ জনকে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে বাচ্চাদের প্রচুর ইউনিফর্ম, নথি, ইত্যাদি। পুলিশের নজর এড়িয়ে কীভাবে এই চক্র কাজ করছিল? তা নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধছে। তো কীভাবে চলত এই প্রতারনাচক্র?
পশ্চিমবঙ্গ পঞ্চায়েত এবং রুরাল ডেভেলপমেন্টের অধীনে একটি প্রকল্প রয়েছে। যে প্রকল্পের মাধ্যমে সরকারী স্কুলে বাচ্চাদের ইউনিফর্ম তৈরি করা হয় এবং সেগুলো বিতরণ করা হয়। আর সেই প্রকল্পের নাম করেই কিছু ব্যাক্তি বাইরের রাজ্যের কোম্পানিকে ভুল তথ্য দিয়ে ইউনিফর্ম তৈরির কন্ট্রাক্ট দেয়। গতবছর জুলাই মাসে আনন্দধারা প্রকল্পের সিইও-র কাছ থেকে একটি অভিযোগ আসে। ভিন রাজ্যের দুই ব্যবসায়ীর কাছ থেকে অভিযোগ আসে তার কাছে। আর সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই নড়েচড়ে বসেন সরকারী প্রকল্পের সিইও।
একবার নয়। একাধিকবার কমপ্লেন এসেছে। একটি কোম্পানি থেকে নয়। একাধিক কোম্পানি থেকে এসেছে সেই অভিযোগ। জানানো হয়েছে, আনন্দধারা প্রকল্পের আওতায় স্কুল ব্যাগ এবং ইউনিফর্ম তৈরির বরাত যায় বাইরের ওই কোম্পানির গুলির কাছে। কথামত তারা সেই সমস্ত অর্ডার সাপ্লাইও করে দেয়। কিন্তু সময় পেরিয়ে গেলেও পেমেন্ট পাননি তারা কেউই। সেই কেসের তদন্ত করতে গিয়েই তাদের কাছ থেকে ডিটেলস নেওয়া হয়। তদন্ত সূত্রে উঠে আসে এক বাঙালির প্রসঙ্গ। নাম, শুভাশিস সিংহ। তিনি নাকি বলতেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের এই প্রকল্পের বেশ কিছু সরকারী অফিসারের সঙ্গে তার পরিচয় আছে। প্রয়োজন তিনি এই কাজের বরাত ওই কোম্পানিগুলোকে পাইয়ে দেবেন। তারপর সেই কোম্পানির বিশ্বাস অর্জন করতে এগ্রিমেন্টও নাকি করা হত। এমনকি কিছু কোম্পানিকে নাকি সাপ্লাই অর্ডার পাইয়েও দেওয়া হয়।
দিল্লির এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন যে তার সঙ্গে নাকি ১৫ কোটি টাকার এগ্রিমেন্টও সাইন করা হয়। দিল্লির সেই ব্যবসায়ীর অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত চালায় পুলিশ। সূত্রের খবর মারফৎ ডাঙ্কুনির এক গোডাউনে নাকি তল্লাশিও চালানো হয়। আর এর ঠিক পরেই প্রশ্ন উঠছে যে, সরকারের নাকের ডগা দিয়ে এতকিছু হচ্ছে, আর সরকার তার বিন্দু-বিসর্গ কিছু জানে না, সেটা কী করে হয়? এ প্রসঙ্গে জয়েন্ট সিপি কি জানাচ্ছেন, শোনাব আপনাদের।
সরকারী প্রকল্পকে সামনে রেখে আড়ালে চলছে প্রতারনাচক্র। যে প্রতারনা চক্রের পর্দাফাঁস করল বিধাননগর থানার পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে ১০ জনকে। একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সীজ করা হয়েছে। যে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টগুলোতে নাকি লক্ষাধিক টাকা ব্যাল্যান্স ছিল। আনন্দধারা প্রকল্পের আওতায় যেখানে ছোট ছোট স্কুল পড়ুয়াদের ইউনিফর্ম এবং স্কুল ব্যাগ দেওয়া হয়- সেই প্রকল্পকে সামনে রেখে কিবাহবে একটা প্রতারনা চক্র এতদিন ধরে কাজ চালিয়ে গেল? সরকারিবাহবে কেন কোন খোঁজ-খবর নেওয়া হল না এর আগে? এখন এসব নিয়েই প্রশ্নে সরব ওয়াকিবহাল মহল। একইসঙ্গে সরকারের উদাসীনতা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।
সঙ্গে থাকুন দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ। জীবন হোক অর্থবহ।