Market
রেকর্ড উচ্চতায় শেয়ার বাজার। কিছুটা হলেও অক্সিজেন পাবে অর্থনীতি। ফলে, কেটে যেতে পারে আর্থিক দুশ্চিন্তা। আশাবাদী কেন্দ্রীয় সরকার। স্বাভাবিকভাবেই, বিনিয়োগকারীদের মুখে হাসির ঝলক। কিছুটা হলেও স্বস্তিতে রয়েছেন তাঁরা। লক্ষ্মীবারেই শেয়ার বাজারের উত্থানের পিছনে কাজ করেছে মার্কিন মুলুকের একটি সিদ্ধান্ত। একইসঙ্গে টাকার দর।
আসলে, আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ফেডেরাল রিজার্ভ তাদের সর্বশেষ বৈঠকে সুদ বৃদ্ধির গতিতে রাশ টানার জন্য আলোচনা চালিয়ে গেছিল। সেটা কিছুটা কাজে দেয় বৈঠকে হওয়া সিদ্ধান্ত প্রকাশ করার পরেই। দেখা যায়, মার্কিন মুলুকের সেই সিদ্ধান্ত বিশ্ববাজারে একটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলল। বাদ পড়ল না ভারত। বৃহস্পতিবার রেকর্ড উচ্চতায় উঠল সেনসেক্স। বৃহস্পতিবার সেনসেক্সের সূচক ৭৬২.১০ পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে পৌঁছে গেল ৬২,২৭২.৬৮ পয়েন্টে। সমান তালে চাঙ্গা হয়েছে নিফটি। নিফটির উত্থান হয়েছে ২১৬.৮৫ পয়েন্ট। দিনের শেষে নিফটির সূচক থামল ১৮,৪৮৪.১০ পয়েন্টে। ফলে টানা তিনদিন নিফটি এবং সেনসেক্সের দৌড় বেশ ভালোরকম দেখল শেয়ার বাজার। সেনসেক্স উঠল ১১৬৭ পয়েন্ট, নিফটি উঠল ৩২৪ পয়েন্ট। তবে শেয়ার বাজার চাঙ্গা হওয়ার পেছনে একইসঙ্গে কাজ করেছে টাকার দর। ডলারের নিরিখে ২৩ পয়সা কমে টাকার দর গিয়ে দাঁড়াল ৮১.৭০ টাকায়।
বাজার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চললেও সেটাই যে একটা বাজার ক্ষতিগ্রস্ত করার জন্য একমাত্র দায়ি এমন কিন্তু নয়। বাজার চাঙ্গা হওয়ার অন্য একটা কারণ চিন। সম্প্রতি চিন লকডাউন নিয়ে ফের কড়াকড়ি শুরু করেছিল। বিধি নিষেধ আরোপ করার মধ্যেই অ্যাপলে শ্রমিক বিক্ষোভের ছবিটা গোটা বিশ্বে ভাইরাল হয়ে যায়। তবে, চিন সরকার বুঝতে পেরেছে দেশের সার্বিক পরিস্থিতি খুব একটা ভালো নয়। লকডাউনের প্রভাব থাকলে হোঁচট খেতে পারে অর্থনীতি। তাই চিন লকডাউনের নিয়ম কানুন কিছুটা শিথিল করে দেওয়ার কারণে সেই প্রভাব পড়েছে বিশ্ববাজারে। চাঙ্গা হয়েছে শেয়ার বাজার। অন্যদিকে বলা হচ্ছে, বৃহস্পতিবার বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি প্রচুর পরিমাণ শেয়ার কিনেছে। ফলে ডলারের আমদানি হয়েছে ভালোরকম। সেটাও কাজ করেছে ডলারের হাঁকডাক একটু কমাতে। এদিকে বিশ্ব জুড়ে অপরিশোধিত তেলের দাম কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। যে কারণে মূল্যবৃদ্ধি কিছুটা হলেও আটকানো সম্ভব বলে মনে করছেন বাজার বিশেষজ্ঞরা।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ