Daily

ডলারের নিরিখে টাকার দামের ক্রমশ পতন যেন থামছেই না। এমনকি অনেকের ধারনা, ৮৪ টাকার গণ্ডিও ছাড়িয়ে যেতে পারে ডলারের মূল্য। আজ থেকে ৯ বছর আগে, ২০১৩ সালেও ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামের এক বিশাল পতন দেখেছিল দেশ। তখন অবশ্য রিজার্ভ ব্যাঙ্ক এমন কিছু পদক্ষেপ নিয়েছিল যা কার্যকরী প্রমাণিত হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ অন্যরকম। যার ফলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, সেইসব পদক্ষেপগুলি এখন আর কাজ দেবে না।
শুধু ডলারের দাম বৃদ্ধিই নয়। তার সঙ্গে রয়েছে আমদানি খাতে ব্যপক হারে খরচ বৃদ্ধি। সবটা মিলিয়ে বেড়েছে বাণিজ্য ঘাটতিও। বর্তমানে দাঁড়িয়ে আগামী আট মাসের আমদানি খরচ মেটানোর মতো সাধ্য অবশ্য রয়েছে দেশের শীর্ষ ব্যাঙ্কের কাছে। কিন্তু এই ভাবে আমদানির খরচ ক্রমশ বাড়তে থাকলে খুব শীঘ্রই ধ্বস দেখা দেবে ভারতের ডলার ভাণ্ডারে। প্রসঙ্গত, এর আগে জুলাইতে, বিদেশে মুদ্রার পরিমাণ বাড়াতে বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্ত নিয়েছিল আরবিআই। বিদেশি লগ্নিকারীদের সরকারি ঋণপত্রে বিনিয়োগের জন্য সায় দেওয়া সেই সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে অন্যতম।
কিন্তু বর্তমানে দাঁড়িয়ে ওইসব পদ্ধতি আর কাজে লাগবেনা বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। কারণ ২০১৩ সালের পরিস্থিতি আর এখনের পরিস্থিতির মধ্যে তৈরি হয়েছে আকাশ আর পাতাল পার্থক্য। আর তাছাড়াও ২০১৩ সালে সামগ্রিকভাবে ডলারের নিরিখে টাকার দাম পড়েছিল ১১ শতাংশ। আর ২০২২ এর এমন পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে টাকার দাম ইতিমধ্যেই অতটা নেমে গেছে। এখন এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে নতুন কোন সিদ্ধান্ত নেয় আরবিআই, সেটাই লক্ষণীয়।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ