এই প্রথম এতটাই রেগে যেতে দেখা গেল রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকে। চট করে তিনি এভাবে মাথা গরম করেন না। স্বভাবে শান্তশিষ্ট রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব এতটা মাথা গরম করলেন কেন? কারণ তাঁর লক্ষ্য বিরোধীরা তো বটেই। তবে আরও সোজাসুজি বললে, অশ্বিনী বৈষ্ণবের টার্গেট খোদ তৃণমূল সুপ্রিমো এবং প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু কোন কথার পরিপ্রেক্ষিতে অশ্বিনী বৈষ্ণব এভাবে মেজাজ হারিয়ে ফেললেন? সেই কথাই বলব আজ।

মোদী সরকার তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর বারবার রেল দুর্ঘটনা কার্যত চাপে ফেলে দিয়েছে মোদী শিবিরকে। অন্যদিকে রেল দুর্ঘটনাকে হাতিয়ার করে বিরোধী শিবির একযোগে চাপ বাড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সমালোচনার বন্যা বইছে সংসদে। একের পর এক বাক্যবাণে যখন মোদী সরকার কার্যত কোণঠাসা হবার উপক্রম ঠিক তখন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব তুলে ধরলেন পরিসংখ্যান। আর সেই পরিসংখ্যানের তথ্য তুলে ধরার সময় একেবারে মেজাজ হারিয়ে ফেললেন তিনি। রেলমন্ত্রীর বক্তব্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন রেলমন্ত্রী ছিলেন তখন সংসদে দাঁড়িয়ে বলতেন দেশে ট্রেন দুর্ঘটনা ০.২৪ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ০.১৯ শতাংশ। তখন বাকিরা হাততালি দিতেন। আর এখন ট্রেন দুর্ঘটনার পরিমাণ ০.১৯ শতাংশ থেকে কমে হয়েছে ০.০৩ শতাংশ। তাহলে এখন কিভাবে তাঁরা দোষারোপ করছেন? এভাবে কি দেশ চালানো যায়? রেলের মত গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক চালানোর জন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। লোকসভায় মেজাজ হারিয়ে কী বললেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব শুনুন।

কংগ্রেস সহ সকল বিরোধী শিবিরের দিকে আঙুল তুলে রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলছেন, কংগ্রেস এবং তাঁর দলবল সোশ্যাল মিডিয়ায় মিথ্যা প্রচার করছেন। প্রতিদিন ২ কোটি মানুষ ট্রেনে যাতায়াত করেন। তাঁদের মনে ভয় ঢুকিয়ে দিতে চাইছে কংগ্রেস সহ বিরোধী শিবির। তিনি এই প্রশ্নও কংগ্রেসের দিকে ছুঁড়ে দিয়েছেন যে, ৫৮ বছর সরকারে থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁরা এক কিলোমিটার স্বয়ংক্রিয় রেলসুরক্ষা বা এটিপি চালু করতে পারেনি? একইসঙ্গে বিরোধীদের জবাব দিতে গিয়ে রিলের প্রসঙ্গও তুলেছেন রেলমন্ত্রী। বিরোধীদের উদ্দ্যেশ্যে তিনি বলেছেন, আপনাদের মত যারা মানুষকে দেখানোর জন্য রিল বানান, আমরা সেই দলের নই। আমরা কঠিন পরিশ্রম করি। দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ।

জীবন হোক অর্থবহ