Daily

সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্য সরকার বেশ কিছু বিধি নিষেধ জারি করেছিল। তার জন্য থমকে গেছিল গণ পরিবহনের চাকা। সংক্রমণের গ্রাফ ক্রমশ কমতে থাকায় তাই লোকাল ট্রেন চালানোর আর্জি জানিয়ে চিঠি দেওয়া হল রাজ্য সরকারকে। কিন্তু সেই চিঠির উত্তর রাজ্য সরকারের তরফ থেকে রেলের কাছে না পৌঁছনোর জন্য বিধি নিষেধে রাশ আলগা করা হলেও লোকাল ট্রেন চালু নিয়ে প্রশ্ন চিহ্ন থেকেই গেল।
এদিকে মেট্রো কর্তৃপক্ষ রাজ্যের কাছে আবারও পরিষেবা শুরুর জন্য সবদিক থেকে নিজেদের প্রস্তুত রেখেছে। যদিও তারা এখনও পর্যন্ত কোনরকম আর্জি পেশ করেনি। ধোঁয়াশা রয়েছে বাস চলাচল নিয়েও। কারণ তেলের দাম বর্তমানে আগুন। এই পরিস্থিতিতে সরকারি বাস চালাতে হলে একদিকে বিপুল খরচের ধাক্কা। আর অন্যদিকে বেসরকারি বাস রাস্তায় নামলেও কতটা পরিষেবা তারা দিতে পারবে- সেখানেও রয়েছে এক অলিখিত অনিশ্চয়তা।
উল্লেখ্য, সাধারণের জন্য লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকলেও রেল কর্মীদের জন্য পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেল সীমিত সংখ্যায় ট্রেন চালাচ্ছে। সেখানে ব্যাঙ্ক, স্বাস্থ্য কর্মী এবং টেলিকমের সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের মাসিক টিকিট কেটে পরিষেবা নেবার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমস্যা তৈরি হচ্ছে শিয়ালদহ ডিভিশনে। সেখানে সারাদিনে মাত্র ৩০০ টি লোকাল চলছে। যেগুলির প্রথম ছ’টি কামরা থাকছে রেল কর্মীদের জন্য। এবং পরের ছ’টি কামরা জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্ত কর্মীদের জন্য। ফলে ক্রমশই চাপ বাড়ছে রেল যাত্রায়। তাই যাত্রী স্বার্থেই এখন ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর দাবি উঠেছে রেল বোর্ডের তরফ থেকে।
ব্যুরো রিপোর্ট