Daily

বলা যেতে পারে এই উৎসব ব্রাত্যজনের । এই উৎসবে ভক্ত হন যারা, তারা কৃচ্ছ সাধন করেন তেমনি শ্রদ্ধা আদায় করে নেন ব্রাহ্মণের । আসলে গাজনের ঢাকে কাঠি পড়লে বোঝা যায় এবার চৈত্র সংক্রান্তি শেষ হয়ে বৈশাখ আসছে । পুরুলিয়ার গ্রামে গ্রামে এই গাজন উৎসব শুরু হয়ে গেল সোমবার থেকে ।
আসলে সমুদ্রমন্থনের সময় শিব বিষ পান করে নীলকন্ঠ হয়ে যান ।এই শিব হলেন জগতের কল্যাণের দেবতা । সন্তানের মঙ্গল কামনায় গাজনের আগের দিন নীলের উদ্দেশ্যে বাতি দেন মায়েরা । তারপর শিব কে সন্তুষ্ট করার জন্য শুরু হয় চড়ক পরব ।এই চড়ক পরব আসলে রাঢ়বঙ্গের অন্যতম পরব। মঙ্গলবার হবে চড়ক পরব । শিব মন্দিরের সামনে উঁচু একটি খুঁটির আগায় লম্বা কাঠ বেঁধে তাতে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় ভক্তদের তারপর বনবন করে ঘুরতে থাকে চড়ক গাছ । পরদিন হয় ভক্তদের পারণ উৎসব বা শিব পূজা ।অবশ্য পুরুলিয়ার প্রথা অনুযায়ী গোটা বৈশাখ মাস জুড়েই কোন না কোন গ্রামে চরক হয় ।চরক পূজা উপলক্ষে মেলা বসে যায় বিভিন্ন গ্রামে ।
পুরুলিয়ার চারটি শৈবতীর্থে চড়ক হয় ধুমধাম করে ।এগুলি হল চিড়কার গৌরিনাথ ধাম , আনাড়ার বানেশ্বর নাথ ধাম , বুধপুরের বুদ্ধেশ্বর ধাম এবং তেলকুপির গদাধর ধাম ।মেলা উপলক্ষে এগুলিতে প্রচুর মানুষের সমাগম হয় ।নানান ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও হয়ে থাকে তবে এবার কোভিড পরিস্থিতিতে ভীড় নিয়ে কপালে ভাঁজ পড়েছে আয়োজকদের । তবুও এই বৎসর ভীড় জমাতে শুরু করেছে ইতিমধ্যে । একই সঙ্গে পুরুলিয়ায় পালন করছে বর্ষবিদায় ও নববর্ষ উৎসব ।
পুরুলিয়া থেকে জয়প্রকাশ কুইরির রিপোর্ট