Story
পাঠশালা তৈরি করে ভবিষ্যৎ। সামাজিক এবং আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী হবার জন্য পাঠশালাই হচ্ছে প্রথম সিঁড়ি। সেই পাঠশালাই এবার ফিরে এসেছে পুরুলিয়া জেলায়। তবে কৃষকদের জন্য। এই পাঠশালায় রীতিমত শেখানো হচ্ছে কম খরচে কিভাবে একজন চাষি বেশি লাভ করতে পারেন ফলন বাড়িয়ে। এর ফলে আর্থিকভাবে অনেকটা স্বচ্ছল হতে পারবেন তাঁরা।
পুরুলিয়ার প্রধান খারিফ ফসল আমন ধান। কিন্তু এই ধান চাষ করতে গিয়ে লাভের মুখ তেমন একটা দেখতে পাচ্ছেন না কৃষকরা। কৃষি পাঠশালায় তাই হাতেকলমে শেখানো হচ্ছে কিভাবে কম খরচে কৃষি যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে চাষবাসকে আরও টেকসই এবং লাভজনক করে তোলা যায়। তার জন্য হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে আতমা প্রকল্পের এফআইজি বা ফার্মার্স ইন্টারেস্ট গ্রুপের ২৫ জন সদস্যকে।
কৃষি পাঠশালার অংশ হিসেবে আরশা ব্লক কৃষি দপ্তর এবং কৃষি তথ্য ও উপদেষ্টা কমিটির উদ্যোগে পুরুলিয়ার এই লছমনপুর গ্রামে চলছে এই কৃষি পাঠশালা। এখানে যেমন যন্ত্রের সাহায্যে ধান রোপনের লক্ষ্য নিয়ে প্লাস্টিকের ট্রেতে ধানের চারা তৈরির প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কৃষকদের তেমনই প্যাডি ট্রান্সপ্লান্টারের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে কিভাবে একটি লাইনে ধানের চারা রোপণ করা যায়। এছাড়া আর কী কী পরামর্শ মাটির সৃষ্টি প্রকল্পে কৃষকদের দেওয়া হচ্ছে?
কিন্তু কী এই ছটি ধাপ যা কৃষকদের ট্রেনিং দেওয়া হল জানালেন ব্লক টেকনোলজি ম্যানেজার দীপক কুমার মাহাতো।
কিন্তু কেন চাষে যান্ত্রিকীকরণের প্রয়োজন পড়ল? সেটাও জানালেন তিনি।
এখানেই শেষ নয়। চাষের সুবিধার জন্য কৃষকবন্ধুদের হাতে তুলে দেওয়া লিফট কালার চার্ট। কিন্তু কী এই লিফট কালার চার্ট?
কৃষিকাজে যন্ত্র ব্যবহারের সুবিধা কতটা সেটা জানালেন কৃষক বিবেকানন্দ মাহাতো।
কৃষি পাঠশালার মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে নতুন প্রযুক্তিকে চাষিদের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া। ২৫ জন চাষী ছাড়াও অন্যান্য চাষিরা কৃষি ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তির ব্যবহার দেখে যথেষ্ট অনুপ্রাণিত হয়েছেন। আশা করা যায় এই প্রযুক্তি ভবিষ্যতে বাংলার সমস্ত কৃষকদের কাছে ছড়িয়ে পড়বে। কম পরিশ্রম এবং কম খরচা করে উন্নত ফলনের সাক্ষী থাকবেন কৃষকরা।
সন্দীপ সরকার
পুরুলিয়া