গতকাল টুইটারে হ্যাশট্যাগে ট্রেন্ডিং ছিল শিশু দিবস। শিশু দিবস যে ট্রেন্ডিং থাকবে সেটাই তো স্বাভাবিক। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় শিশু দিবসের ভিড়ে গতকাল চাপা পড়ে গিয়েছিল আরো একটা বিষয়। অনেকেই জানেন না গতকাল ছিল রসগোল্লা দিবস।

২০১৮ সালের বাংলা ও উড়িষ্যার মধ্যে বহু আইনি টানাপোড়েনে শেষ পর্যন্ত রসগোল্লায় জিআই ট্যাগ জোটে বাংলার কপালে। সেই থেকে শিশু দিবসের দিনে গোটা বাংলা জুড়েই মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা পালন করেন রসগোল্লা দিবস। নবীন ময়রার হাতে তৈরি মিষ্টি শেষ পর্যন্ত বিশ্বের দরবারে আইনত স্বীকৃতি পায় ২০১৮ সালের ১৪ নভেম্বর।

পশ্চিমবঙ্গ মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সমিতির পক্ষ থেকে সারা রাজ্য জুড়ে এই দিনটি বিশেষ ভাবে পালন করা হয়। কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা পথচলতি মানুষকে রসগোল্লা খাইয়ে বেশ তৃপ্তি অনুভব করেন।

পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাটে বিজনেস প্রাইম নিউজের ক্যামেরা ধরা পড়লো সেই ছবি। দেখুন মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা কিভাবে মানুষকে ডেকে ডেকে আনন্দের সঙ্গে হাতে তুলে দিচ্ছেন রসগোল্লা।

খানিকটা হলেও অভিনবত্ব রয়েছে এই প্রয়াসে। তবে বাংলার রসগোল্লা স্বার্থে মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা এই কাজটা করছেন বেশ হাসি মুখে।

স্বাভাবিকভাবেই পথচলতি মানুষ থেকে সাধারণ মিষ্টিপ্রেমী মানুষদের মধ্যে আবেগের অন্ত ছিল না এই রসগোল্লাকে নিয়ে। দোকানে বসে রসগোল্লা দিবসে মিষ্টি খাওয়ার পাশাপাশি বাড়ির লোকেদের জন্য রসগোল্লা কিনে নিয়ে যেতে এসেছেন এই মিষ্টিপ্রেমী মানুষটি।

২০১৮ সাল থেকে এই দিনটিকে পশ্চিমবঙ্গের মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা রসগোল্লা দিবস হিসেবে পালন করে আসছেন। তবে ছেদ পড়ে ২০২০ সালে করোনার কারণে। ফের এই বছর করোনা একটু কমতেই আবারো মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শুরু করে দিলেন রসগোল্লা উৎসব।

বাংলার অর্থনীতিতে বিশেষত মিষ্টান্ন বাজারে রসগোল্লার বাণিজ্যের হার বেশ তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতো। গোটা ভারতের বাজারে বাংলা রসগোল্লার একটা আলাদা জায়গা রয়েছে। আলাদা জায়গাতেই বাংলার মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা ঘরে তোলেন বেশ ভালোরকম অর্থ। তাই নবীন ময়রার হাতে তৈরি মিষ্টির এই স্বীকৃতিকে সাড়ম্বরে পালন করতে কোনরকম কুন্ঠা বোধ করছেন না এই জেলার মিষ্টান্ন ব্যবসায়ীরা।

পূর্ব মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন জায়গা সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে গতকাল পথ চলতি মানুষদের হাতে বিনা পয়সায় রসগোল্লা তুলে দিয়ে একদিকে যেমন নবীন ময়রাকে সম্মান জানালেন ব্যবসায়ীরা তেমনি সম্ভাবনাময় বাংলা ঐতিহ্যবাহী রসগোল্লাকেও তুলে ধরলেন ভারতীয় বাজারে আরো একবার।

প্রসূন ব্যানার্জি
পূর্ব মেদিনীপুর