Trending

ডাল শস্য চাষে দেশের মধ্যে প্রথম সারিতে মধ্যপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র, উত্তরপ্রদেশ থাকলেও তুলনামূলকভাবে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে বাংলা। আমাদের রাজ্যে ডাল শস্য চাষে তেমন একটা জোয়ার না আসার কারণে আসরে নেমেছে কৃষি দফতর। উৎসাহিত করা হচ্ছে কৃষকবন্ধুদের। তাঁরাও কৃষি দফতরের পরামর্শ মেনে ডাল শস্য চাষে সাফল্য দেখছেন। ঝাড়গ্রাম জেলার নয়াগ্রাম ব্লক। এই ব্লকে বড়খাঁকড়ি গ্রামপঞ্চায়েত এলাকায় তিনশো জন কৃষকের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছিল মুসুর ডালের বীজ। জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা মিশন প্রকল্পের মাধ্যমে। আর শুধু বীজ নয়। সঙ্গে কৃষকবন্ধুদের হাতে অনুখাদ্য হিসেবে তুলে দেওয়া হয়েছে জিঙ্ক, জৈব সার সহ বিভিন্ন ওষুধপত্র। রয়েছে কৃষি আধিকারিকদের ২৪ ঘণ্টা নজর, পরামর্শ। যা কৃষকবন্ধুদের মুসুর ডাল চাষে অনেকটাই লাভবান করে তুলছে। কুয়াশার সমস্যা হয়ত একটু রয়েছে। তবে মোটের উপর আবহাওয়া সহায়ক হওয়ায় চাষে তেমন কোন সমস্যা হয়নি। ফলে কৃষকরা যে মুসুর ডাল চাষে সাফল্য আশা করতে পারেন সে ব্যপারে দ্বিমত নেই কৃষি আধিকারিকদের। কৃষক নিজেও মুসুর ডাল চাষ করে যে লাভের মুখ দেখবেন। সেই বিষয়েও তিনি যথেষ্ট আশাবাদী। কৃষি আধিকারিকদের যাবতীয় পরামর্শ স্বাভাবিকভাবেই কৃষকবন্ধুদের ডাল শস্য চাষে অনেকটাই লাভবান করে তুলবে। যে সকল চাষিদের হাতে এই বীজ তুলে দেওয়া হয়েছিল। তাঁরা সকলেই চাষ করেছেন। চাষ করে তাঁরা সাফল্যও পাচ্ছেন। ফলনও বেশ ভালো হয়েছে বলে জানালেন বড়খাঁকড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের প্রধান ভবেশ চন্দ্র মাহাতো। আধিকারিকরা আশাবাদী, এভাবেই যদি মুসুর ডাল চাষ করে সাফল্য আসতে পারে তাহলে উপকৃত হবেন কৃষকবন্ধুরাই। রাজ্যও মুসুর ডাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়ে উঠবে। জঙ্গলমহলের প্রত্যন্ত গ্রামে এই মুসুর ডাল চাষ করে এবং কৃষি আধিকারিকদের কড়া পর্যবেক্ষণে মুখে হাসি ফিরেছে কৃষক মহলের। আগামী মরশুমেও কৃষকবন্ধুরা এই মুসুর ডাল চাষ করার ব্যাপারে যথেষ্ট উৎসাহ দেখিয়েছেন। প্রসূন ব্যানার্জী পূর্ব মেদিনীপুর