পাবজি। নামটাই যথেষ্ট। ঠিক যেমন অনলাইন গেমপ্রেমীদের কাছে। তেমনই ভার্চুয়াল খেলার জগত যাদের স্পেস অফ ইন্টারেস্ট নয়, তাদের কাছেও। ভরপুর অ্যাকশন আর টানটান উত্তেজনা যে গেমটিকে বসিয়েছে একেবারে সাফল্যের রাজসিংহাসনে। কিন্তু এটা জানেন কি ওয়ার্ল্ড ওয়াইড গেমপ্রেমীদের ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়ে পাবজি নিজে কত আয় করেছে? হ্যাঁ বন্ধুরা। আজ কথা বলব পাবজির আয় নিয়ে। তার সঙ্গে বলব পাবজির আরেকটা গল্প। পুরো ভিডিওটা দেখার জন্য অনুরোধ রইল। ভালো লাগলে সটান চলে যান শেয়ার অপশনে।

প্লেয়ার আননোন’স ব্যাটেলগ্রাউন্ড বা পাবজি এমনই একটি অনলাইন ভিডিও গেম যা মাল্টিপ্ল্যাটফর্মে দারুণভাবে গোটা বিশ্বে জনপ্রিয়তা কুড়িয়ে নেয়। কিন্তু পাবজির ইতিহাস তৈরি হয় একটু আগে থেকেই। ২০০০ সালের বিখ্যাত জাপানিজ মুভি ব্যাটল রয়েলের অনুকরণে ব্রেন্ডেন গ্রিন এই গেমটি ডিজাইন করেন। সঙ্গ দেয় সাউথ কোরিয়ান সংস্থা ব্লুহোল। ২০১৭ সালে প্রথম পাবজিকে উইন্ডোজের স্টিমের জন্য গেমটিকে ছাড়া হয়। তারপর ২০১৮ সালে গেমটি অফিসিয়ালি রিলিজ করে এক্সবক্স ওয়ান এবং এক্সবক্স গেম প্রিভিউয়ে। এরপর ২০১৮ সালে পাবজি অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস ভার্সনে রিলিজ করা হয়।

বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, পাবজি যখন ২০১৮ সালে আইওএস এবং অ্যান্ড্রয়েড প্ল্যাটফর্মে লঞ্চ করা হয় তখনি এর জনপ্রিয়তা তুঙ্গে ওঠে। বিশ্বের তাবড় অনলাইন গেমগুলিকে পিছনে ফেলে দিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে আসতে থাকে পাবজি। তবে পাবজির রকেট গতিতে উত্থান শুরু কিন্তু লকডাউনের সময় থেকে। করোনা ভাইরাসের দাপটে যখন গোটা পৃথিবীটা লকডাউন মোডে চলে যায় তখন পাবজির একটি মাসে রেভেনিউ জেনারেট করে ২৭০ মিলিয়ন ডলারের মতন। ২০২০ সালে পাবজি হায়েস্ট গ্রসিং গেম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। সেই বছরে পাবজির আয় দাঁড়ায় ২.৬ বিলিয়ন ডলার। গেমটি ডাউনলোড করা হয় ৭৩০ মিলিয়নেরও বেশি। ২০২০ অর্থবর্ষের তৃতীয় কোয়ার্টারে প্রতিদিন ৫০ মিলিয়ন মানুষ পাবজি খেলেছেন। তবে তথ্য বলছে, সবকিছুকে ছাড়িয়ে গিয়েছে পাবজির চাইনিজ ভার্সন গেম ফর পিস। যা প্রতিদিন ৭০ মিলিয়ন মানুষ ডাউনলোড করেছেন। আর সবথেকে অবাক করা তথ্য কি জানেন? ভারতে পাবজি নিষিদ্ধ ঘোষণার আগে ভারতে ব্যাপকভাবে পপুলারিটি পেয়েছিল এই পাবজি। ভারতে ৭৫% পুরুষ এই অনলাইন গেমটি খেলেছেন উত্তেজনায়। আর ইউনাইটেড স্টেটসে পাবজি খেলেছেন ৬০% পুরুষ।

পাবজি প্লে স্টোর থেকে ডাউনলোড করা হয় ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি। অন্যদিকে পাবজি নিউ স্টেট নতুন ভার্সন নিয়ে আসে। যা এখনও পর্যন্ত ১০ মিলিয়নের বেশি ডাউনলোড করা হয় শুধুমাত্র প্লে স্টোর থেকে। পাবজি গেমটি ডাউনলোড করা হলেও গেমটি আয় করে গেমের ভেতরে চরিত্রকে নিজের মনের মত কাস্টমাইজ করা নিয়ে। যেখানে একজন গেমার চরিত্রকে মনের মত করে সাজাতে খরচ করতে পারে ০.৯৯ ডলার থেকে ৯৯ ডলার পর্যন্ত। সবথেকে বড় কথা কি জানেন? পাবজি ২০২১ সালে প্রতিদিন গড়ে আয় করেছে ৮.১ মিলিয়ন ডলার। এছাড়াও বিভিন্ন স্পন্সরশিপ থেকে পাবজির উপার্জনের একটা বড় অংশ উঠে আসে। এছাড়াও পাবজি তাদের বিভিন্ন পণ্যদ্রব্য ওয়েবসাইটে বেচা শুরু করে দেয়। টিশার্ট, টুপির মত একাধিক পণ্য রয়েছে সেই তালিকায়। আর গেমটি রেভেনিউ আনে যখন গেমটি মাইক্রোসফটে খেলার জন্য ইউজাররা কিনে নিতে থাকে। এছাড়াও পাবজি তাদের ইউটিউব চ্যানেল এবং সোশ্যাল মিডিয়ার চ্যানেল থেকে বড় অঙ্ক আয় করে।

তাহলে দেখলেন তো বন্ধুরা পাবজির এই আকাশছোঁয়া আয়ের রহস্য? আজ কথা বললাম পাবজির আয় নিয়ে। পরের আরেকটি প্রতিবেদনে তুলে ধরব কেন ভারতে নিষিদ্ধ হোল পাবজি। এরকমই আরও নতুন নতুন অজানা তথ্য পেতে আমাদের চ্যানেলটিকে সাবস্ক্রাইব করে নিন। যেখানে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করব বিভিন্ন অজানা গল্প। চোখ থাকুক আমাদের চ্যানেল বিজনেস প্রাইম নিউজে। ভালো থাকুন, দেখতে থাকুন বিজনেস প্রাইম নিউজ।