Daily
জমির পরিমাণ মাত্র এক বিঘা। কিন্তু এই এক বিঘা জমি থেকে লাভের পরিমাণটা কত জানেন? দু’ লক্ষ টাকা। কি? আশ্চর্য লাগছে তাইতো? শুনতে অবাজ লাগকেও, বাস্তবে এমনটাই ঘটেছে কৃষক জয়দেব ঘোষের সাথে।
নদীয়া জেলার কল্যাণী ব্লকের বাবুডাঙা গ্রামের জয়দেব ঘোষ। পেশায় টম্যাটো চাষি। দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন জাতের টম্যাটো চাষ করে আসছেন তিনি। কিন্তু গোল জাতের টম্যাটো চাষ তাকে লাভ দেখিয়েছে। গত অক্টোবর মাসে জয়দেব বাবু তাঁর জমিতে পান সিড কোম্পানির উচ্চ ফলনশীল গোল জাতের টম্যাটোর বীজ পুঁতেছিলেন। চাষ করার আগে জমিতে জৈব সার প্রয়োগ করে নিয়েছিলেন তিনি। ব্যাস! তাতেই কেল্লা ফতে!
প্রতিদিন তাঁর জমি থেকে কম করে ১০ ক্যারেট বা আড়াইশো থেকে তিনশো কেজি টম্যাটো বাজারজাত করেন তিনি। আড়তদারদের মারফত ফসল বিক্রি করলে খরচ বেশি পরছিল তাদের। তাই সরাসরি খুচরো বিক্রেতাদের কাছেই নিজের জমির ফসল বিক্রি করেন জয়দেব বাবু।
প্রাকৃতিক প্রতিকূলতা যখন বিদ্ধস্ত করেছে পাশ্ববর্তী জমিগুলিকে, তখনও নিজের জমির ফসল থেকে পর্যাপ্ত আয় করেছেন জয়দেব বাবু। টম্যাটো চাষে প্রচুর সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। চাষিরা যদি সঠিক নিয়ম মেনে পরিচর্যা করেন তবে তারাও লাভের মুখ দেখবে। সেক্ষেত্রে হয়তো অন্যান্য চাষের থেকে এই চাষের ক্ষেত্রে লাভের পরিমাণটা অনেকটাই বেশি হবে। এমনটাই অভিমত জয়দেব বাবুর।
চাষের জমিতে সঠিক সময়ে সঠিক ছত্রাকনাশক বা কীটনাশক ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ টম্যাটো চাষ করে আজ সফল জয়দেব বাবু। সফলতার সম্মান হিসেবে তাঁর ঝুলিতে রউয়েছে বিধানচন্দ্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বহু সম্মানপত্র।
সুব্রত সরকার
নদীয়া