Daily
১। দেশে করোনা সংক্রমণ লাগামছাড়া। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৮৬ হাজার ৪৫২ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ৩,৪৯৮ জনের। মোট আক্রান্তের হিসেবে ভারতের ওপরে আছে একমাত্র আমেরিকা।
২। রাজ্যেও মাত্রা ছাড়িয়েছে সংক্রমণ। বাংলায় গত ২৪ ঘণ্টায় রেকর্ড সংখ্যার মানুষ আক্রান্ত হলেন। মৃত্যুও গড়ল রেকর্ড। নতুন করে রাজ্যে আক্রান্ত হয়েছেন ১৭,৪০৩ জন। এবং মৃত্যু হয়েছে ৮৯ জনের।
৩। করোনার পায়ে লাগাম পড়াতে এবার লকডাউনের পথে গোয়া। জারি থাকবে আগামী ৩ মে পর্যন্ত। লকডাউন সফল করতে রাস্তায় চলছে কঠোর পুলিশি টহল। অত্যাবশ্যকীয় ক্ষেত্র এবং শিল্প ছাড়া বন্ধ থাকছে সবই। যদিও খোলা রাখা হচ্ছে গোয়ার বর্ডার।
৪। মহারাষ্ট্রে বাড়ানো হল লকডাউনের সময়সীমা। চলবে মে মাসের ১৫ তারিখ পর্যন্ত। প্রতিদিনই বাড়ছে সংক্রমণের বহর। গত ২৪ ঘণ্টায় মহারাষ্ট্রে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৬,১৫৯ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৭১ জনের।
৫। আগামীকাল থেকেই চালু হতে চলেছে গণ টিকাকরণ কর্মসূচি। করোনা ঝড় রোখার জন্য ইতিমধ্যেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এই টিকাকরণ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন। দেশ জুড়ে দেওয়া হবে করোনা ভ্যাকসিন।
৬। আর একদিন পরেই হতে চলেছে বাংলার ভাগ্য পরীক্ষা। লাস্ট মিনিট অপেক্ষায় শাসক-বিরোধী। কে জিতবে আর কে হাসবে জানা যাবে রবিবারেই। যদিও আত্মবিশ্বাসী দুই পক্ষই। তবে গণনার দিন একগুচ্ছ কঠিন নির্দেশিকা জারি করেছে কমিশন।
৭। করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ থাকলে তবেই ঢুকতে দেওয়া হবে গণনা কেন্দ্রে ভেতর। প্রার্থী থেকে পোলিং এজেন্ট সবাই থাকছেন এই নির্দেশের আওতায়।
৮। জেলায় জেলায় জোর কদমে কমিশন শুরু করে দিল গণনার প্রক্রিয়া। এইবার কোভিড বিধি বলবৎ থাকায় চূড়ান্ত ফলাফল জানতে একটু সময় লাগবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
৯। করোনার ভয়াবহ পরিস্থিতিকে সামাল দিতে আন্তর্জাতিক সাহায্য পেতে চলেছে ভারত। বাংলাদেশ, ভুটান, থাইল্যান্ড, হংকং সহ আমেরিকা, ব্রিটেন, ফ্রান্স, জার্মানি সহ বহু দেশ এগিয়ে এসেছে ভারতের পাশে। সকল পণ্য থেকে কর মকুব করে সঙ্কটজনক এলাকায় পৌঁছে দেবার জন্য তৈরি করা হয়েছে বিশেষ কমিটি।
১০। ৬৭ লক্ষ ভ্যাকসিনের বরাত দিল দিল্লি প্রশাসন। করোনা ঝড়ে বিধ্বস্ত দিল্লিকে বাঁচানোর জন্য এমনই পদক্ষেপ নিলেন কেজরিওয়াল। দিল্লিবাসীকে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে একেবারে বিনামূল্যে। দিল্লি সরকারের এখন লক্ষ্য আগামী তিন মাসের মধ্যে প্রত্যেক দিল্লিবাসীকে টিকা দেওয়া।
১১। প্রয়াত কবি শঙ্খ ঘোষের স্ত্রী প্রতিমা ঘোষ। তিনিও করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৯ বছর। ৬৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের চিরবিদায় ঘটল।
১২। এবার করোনায় আক্রান্ত হলেন কাপুর পরিবারের আরেক সিলেব রনধীর কাপুর। বুধবার তাঁর শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যা দেখা দেয়। সেদিনই তাঁকে ভর্তি করা হয় মুম্বইয়ের এক বেসরকারি হাসপাতালে। কাপুর পরিবারের এই প্রবীণ সদস্যের শারীরিক অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল বলেই জানা যাচ্ছে।
ব্যুরো রিপোর্ট