Daily
১। মুখ্যমন্ত্রীর পদে তৃতীয়বারের জন্য শপথ নেওয়ার পরেই সংক্রমণ রুখতে কড়া হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ থেকে বন্ধ হতে চলেছে সমস্ত লোকাল ট্রেন। মেট্রো সহ রাজ্যের সরকারি পরিবহন কমিয়ে আনা হয়েছে ৫০%-এ। বিমানে উঠতে গেলেও বাধ্যতামূলক কড়া হয়েছে কোভিডের নেগেটিভ রিপোর্ট। ব্যাঙ্কের সময়সূচীতেও করা হয়েছে কাটছাঁট।
২। একদিকে যখন করোনায় বিধ্বস্ত দেশ তখন অন্যদিকে নির্বাচনের প্রাসঙ্গিকতা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এবার তারই জবাব দিতে সরাসরি ময়দানে নামলেন বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। ১৯৭৫ সালের জরুরি প্রসং টেনে তিনি জানান, ভারতের মত দেশে নির্বাচন বন্ধ রাখা যায় না।
৩। নির্বাচনের ফল ঘোষণা হতেই প্রমাদ গুনতে শুরু করলেন দেশবাসী। দাম বাড়ল জ্বালানির। দিল্লিতে পেট্রোলের দাম বেড়ে হল ৯০টাকা ৭৪ পয়সা এবং ডিজেলের দাম হল ৮১টাকা ১২ পয়সা। কলকাতায় আইওসির পাম্পে পেট্রোলের দাম বেড়ে হয়েছে ৯০ টাকা ৭৬ পয়সা এবং ডিজেলের দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৩ টাকা ৭৮ পয়সায়।
৪। সল্টলেক স্টেডিয়ামে তৈরি হল করোনা হাসপাতাল। আমরির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকার যৌথ উদ্যোগে তৈরি করল তৈরি করল এই হাসপাতাল সল্টলেকের যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনের যুব আবাস হোস্টেলে। ২৫০ টি বেডের এই স্যাটেলাইট সেন্টার প্রাথমিক ভাবে ৮০ টি বেড নিয়ে যাত্রা শুরু করছে।
৫। গত ৫ তারিখ দিল্লিতে এসে পৌঁছল অক্সিজেন এক্সপ্রেস ট্রেন। এই ট্রেনটি চিকিৎসার জন্য নিয়ে আসে লিকুইড অক্সিজেনের ট্যাঙ্কার। ভোর দুটো নাগাদ ট্রেনটি ছাড়ে জামনগর থেকে। আরও ২৪৪ টন অক্সিজেন এসে পৌঁছল দিল্লিতে
৬। এবার জলপথে এলো লিকুইড অক্সিজেন। আইএনএস তলওয়ার ৫৪ টন লিকুইড অক্সিজেন নিয়ে পৌঁছল নিউ ম্যাঙ্গালোর বন্দরে। জাহাজটি এলো বাহরেইন থেকে।
৭। এইমস ট্রমা কেয়ার সেন্টারে ইনস্টল করা হল অক্সিজেন প্ল্যান্ট। ইনস্টল করল ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন বা ডিআরডিও। প্রতি মিনিটে এই প্ল্যান্টটি ১০০০ লিটার অক্সিজেন তৈরি করতে সক্ষম হবে। একসঙ্গে ১৯০ জন করোনা রোগীকে দেওয়া অক্সিজেন দিতে সক্ষম এই প্ল্যান্টটি।
৮। ২৫০টি অক্সিজেন বেড রাখা হল দিল্লির শ্রী রাকবগঞ্জ সাহিব গুরুদ্বারে। এই সেটআপ তৈরি করা হয়েছে দিল্লির শিখ গুরুদ্বার ম্যানেজমেন্ট কমিটির উদ্যোগে। চিকিৎসার যাবতীয় সুযোগ সুবিধে সহ ডাক্তার, নার্স ওষুধ- কোনকিছুরই অভাব থাকবে না। একদিকে যখন দিল্লির পরিস্থিতি ক্রমশ লাগামছাড়া তখন এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন দিল্লিবাসী।
৯। ১৮ থেকে ৪৪ বছর বয়সীদের করোনার টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে দেশের মাত্র ৯টি রাজ্যে। সরকারি পরিসংখ্যান বলছে বাকি ২১টি রাজ্য এই প্রক্রিয়া এখনও চালু করে উঠতে পাড়েনি। সবচেয়ে বেশি হারে দেওয়া হয়েছে গুজরাতে। তারপর রাজস্থান, মহারাষ্ট্র এবং দিল্লিতে। এছাড়াও রয়েছে উড়িষ্যা, ছত্তিসগঢ়, উত্তরপ্রদেশ এবং কর্ণাটক এবং জম্মু-কাশ্মীরেও।
১০। ব্রিটেনে গিয়েও গৃহবন্দি হতে হল ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর সহ তাঁর প্রতিনিধি দলকে। জানা গিয়েছে, জি-৭ বৈঠকে যোগ দেবার জন্য সোমবার লন্ডনে পৌঁছন তাঁরা। কিন্তু সেখানে তাঁর দলের দুজন সদস্যের করোনা ধরা পড়ায় এখন প্রত্যেকেই রয়েছেন আইসোলেশনে। ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মকে ব্যবহার করেই সব কাজ করবেন বলে জানালেন বিদেশমন্ত্রী।