Daily

মূল্যবৃদ্ধির কালো মেঘে ঢাকা পরিবেশে নাভিশ্বাস ওঠার জোগাড়, বাংলাদেশবাসীর। আর ঠিক সেই মুহূর্তেই সুতোর দামের টানাপোড়েন বাড়তি জ্বালানি যোগালো বাংলাদেশবাসীর মধ্যে। সামনের মার্চ এপ্রিলেই বাড়তে পারে সুতোর দাম। এমনই আভাস দিচ্ছেন বাংলাদেশের বস্ত্র কারখানার মালিকদের সংগঠন, বিটিএমএর সভাপতি মোহাম্মদ আলী।
তুলোর যোগান নিয়ে রীতিমত দুশ্চিন্তায় ভুগছেন বিটিএমএর কর্মকর্তারা। তুলোর যোগানে নেমেছে অমাবস্যা। যে কারণে পর্যাপ্ত ঋণপত্র খোলা হলেও যোগানে রয়েছে ভাটা। সরবরাহে ঘাটতি থাকার জন্য এমন সমস্যার মুখোমুখি হতে হচ্ছে বাণিজ্যমহলকে। সময়মতো সুতো না পৌঁছলে উৎপাদনে তালা ঝুলবে কারখানাগুলোতে। আর এমন পরিস্থিতিতে চাহিদার গ্রাফ ঊর্ধ্বমুখী থাকলে, বাড়বে সুতোর দাম। বিটিএমএর সভাপতি এদিন আরও জানান যে, তুলার মতো একইভাবে কৃত্রিম তন্তুর আমদানি সহজ করতে হবে। কারণ, বর্তমানে আরামদায়ক পোশাকের জন্য কৃত্রিম তন্তুর ব্যবহার আকাশছোঁয়া। আর যতক্ষণ না পর্যন্ত সংযোগশিল্প শক্তিশালী হবে, ততক্ষণ রপ্তানি আয় বৃদ্ধি করা যাবে না।
সরবরাকারীরা তুলো রপ্তানি নিয়ে নানারকম অজুহাত দিচ্ছেন। জাহাজসংকট, কনটেইনার এবং অতিরিক্ত ভাড়ার কথা জানিয়ে মুখ খুলেছেন তারা। ফিডার জাহাজের সংকট যে রয়েছে, সে কথা স্বীকার করেছে সংগঠন। যার দরুন তুলাবাহী কনটেইনার বিভিন্ন বন্দরে পৌঁছেও এমনই পড়ে রয়েছে। সে কারণে জাহাজ কোম্পানিগুলো বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের কনটেইনার পরিবহনে আগ্রহ দেখাচ্ছে না।
ব্যুরো রিপোর্ট