Daily

নভেম্বরের শেষ। নবান্ন আসছে। কিন্তু আবহাওয়া ঘড়ি জানান দিচ্ছে, শীতের চাদরে এখনও ঢাকেনি শহর। তাই বাজারে গুড়ের দেখা মিললেও, তা অগ্নিমূল্য। যাও বা দু একটা দোকানে গুড় বিক্রি হচ্ছে, সেগুলো সব গত বছরের। আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনায় নবান্নের আগে ধুঁকছে গুড় বাজার।
বাজারে চাহিদা থাকলেও, যোগানের অভাব। আর এই অভাবের প্রভাব পড়েছে গুড়ের দামে। নদীয়া, মুর্শিদাবাদ থেকে কিছু পরিমাণ গুড়ের সাপ্লাই আসলেও, বসিরহাটের গুড় এখনও পৌঁছয়নি কলকাতার বাজারগুলোতে। গুড় তৈরি না হলে আসবেই বা কেমন করে? আর শীত জাঁকিয়ে না বসলে, গুড় তৈরিই বা হবে কি করে? পাটালি থেকে নলেন – দামের নিরিখে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছে সবই। কোথাও কোথাও দেড়শ পার করেছে দাম। আর এই অবস্থায়, বাঙালির ঘরে তাদের সাধের গুড় পৌঁছচ্ছে নামমাত্র।
যোগানের অভাবে যেমন দাম বেড়েছে , তেমনই পেট্রল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধিও উপরি কারণ হিসেবে রয়েছে গুড়ের বাজারের এই দশার। পেট্রল-ডিজেলের দাম বেশি থাকায় আমদানি খরচও বাড়ছে, আর যার প্রভাব পড়ছে দামে। এমনটাই অভিমত ব্যবসায়ীদের। তবে সপ্তাহ ঘুরলে, শীত পড়বে। তখন হয়তো ক্রেতা থেকে বিক্রেতাদের ভাগ্যের চাকা ঘুরবে। এখন এই আশা বুকে বেঁধে প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে বসে আছেন, গুড় ব্যবসায়ীরা।
ব্যুরো রিপোর্ট