পাইকারি ও খুচরো সূচকের লাগাতার মূল্যবৃদ্ধি ভারতে মূল্যবৃদ্ধির ঘোড়ার গতিতে লাগাম পড়াতে অর্থমন্ত্রী সীতারামন বেশ ব্যর্থ হয়েছেন বলেই দেখা যাচ্ছে। চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত সাত মাস পণ্যের খুচরো মূল্যবৃদ্ধি যেমন হয়েছে তেমনই পাইকারি মূল্যেও সূচক হয়েছে ঊর্ধ্বমুখী। যদিও জুন মাসে যেখানে খুচরো মূল্যবৃদ্ধি ছিল ৬.২৬ শতাংশ সেখানে জুলাই মাসে তা কমে হয় ৫.৬৯ শতাংশ। একইরকমভাবে জুনে পাইকারি মূল্যবৃদ্ধি ১২.০৭ শতাংশ থেকে কমে হয় ১১.১৬ শতাংশ। সাত মাসের মধ্যে মাত্র ২ মাসে পাইকারি ও খুচরো মূল্যের সূচকের সামান্য নিম্নগতিকে অর্থমন্ত্রী সীতারামন সামগ্রিকভাবে দেশের মূল্যবৃদ্ধির হার অনেকটা কমেছে বলে যে দাবি করছেন সেই দাবিকেই প্রবলভাবে সমালোচনা করেছে কংগ্রেস, তৃণমূল, শিবসেনা সহ দেশের সমস্ত বিজেপি বিরোধী দলগুলি।

মূল্যবৃদ্ধির সূচকের সামান্য পরিবর্তন তা সে খুচরো কিংবা পাইকারি যাই হোক না কেন তার প্রভাব সরাসরি এসে পড়ে দেশের কোটি কোটি পরিবারের বাজার সরকারদের উপর। অর্থমন্ত্রীর দাবি কতটা যুক্তিযুক্ত বা অর্থমন্ত্রী দেশের বাজারগুলির নিরিখে এই পরিসংখ্যান আদৌ পেশ করেন নি বলেই অভিযোগ করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। সম্প্রতি স্বাধীনতা দিবসে দিল্লিতে এক সাংবাদিক সম্মেলন করে অর্থমন্ত্রীর দাবিকে সম্পূর্ণরূপে নস্যাৎ করে দিয়েছেন তৃণমূলের বর্তমান সর্বভারতীয় সহ সভাপতি ও কেন্দ্রের প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী যশবন্ত সিনহা।

যশবন্তের স্পষ্ট অভিযোগ অর্থমন্ত্রী বাস্তবের মাটিতে দাঁড়িয়ে প্রমাণ করে দিন যে দেশে মূল্যবৃদ্ধি কমেছে। কেন্দ্রের শাসক বিজেপির সঙ্গে বিরোধী দলের মতপার্থক্য থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু দেশের সবজি বাজারে ছবিটা কিন্তু বিরোধীদের অভিযোগকেই সিলমোহর দিচ্ছে। দেশের সবথেকে বড় জেলা উত্তর ২৪ পরগনার সদর বারাসাতে কাছারি ময়দান বাজারে বিজনেস প্রাইম নিউজের ক্যামেরায় ধরা দিলেন ক্রেতা থেকে বিক্রেতা একে একে সবাই।

কোটি কোটি পরিবারের বাজার সরকারের দায়িত্বে যারা থাকেন সেই গৃহস্থের বাড়ির থলিতে সবজি তো ভরে আসছেই না উল্টে সবজির ছেঁকায় অনেকটাই দূরে সরে যাচ্ছেন বাজার সরকাররা বাজার থেকে। জৌলুশ কমছে দেশের বাজারগুলির চেহারায়। মাথায় হাত পড়ছে বাজারের বিক্রেতাদের।

বিক্রম লাহা, উত্তর ২৪ পরগনা