Trending
কেয়া বাত প্রজ্ঞান! গোটা পৃথিবী এখন ফিলিং লাইক দিওয়ালি। যেভাবে চাঁদের অজানা পৃষ্ঠের রহস্য ভেদ করছে প্রজ্ঞান তাতে এমনটাই ফিল হওয়ার কথা। মাত্র ৬ দিনেই এই পারফরম্যান্স! বিশ্ব তো অবাক হবেই।
কি কনফিডেন্স! চাঁদের মাটিতে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে প্রজ্ঞান। এর আগে উষ্ণতা পরিমাপ করা বা অ্যালুমিনিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামের মত মূল্যবান খনিজের অস্তিত্ব জানান দেওয়া- এই অবধি জানা গিয়েছিল। কিন্তু এতে কি আর জ্ঞানের পিপাসা মেটে! জানার কোন শেষ নাই, জানার চেষ্টা বৃথা নয় তাই। আপাতত চাতক পাখির মত বিক্রম আর প্রজ্ঞানের দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। পৃথিবীকে একমুহূর্তের জন্যেও আশাহত করতে নারাজ তারা। আর তাই এবার অক্সিজেনের উপস্থিতি সম্বন্ধে হিন্ট পাঠাল ইসরোকে। একেবারেই তাই। সেই সম্পদ, যার অস্তিত্ব জানতে মরিয়া গোটা পৃথিবী। এবং হ্যাঁ! সেই মূল্যবান সম্পদের অস্তিত্ব থাকার প্রবল সম্ভাবনার কথাই জানাচ্ছে রোভার প্রজ্ঞান।
এখানেই শেষ নয়। চাঁদে সালফারের উপস্থিতির কথাও পৃথিবীকে জানিয়েছে তারা। এবং এর কনফরমেশনেও পাঠিয়েছে ইসরোকে। লেসার ইন্ডিউসড ব্রেকডাউন স্পেক্ট্রস্কোপের মাধ্যমে সালফারের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে প্রজ্ঞান। সাধারণত ভল্ক্যানিক অ্যাক্টিভিটির মাধ্যমে সালফার তৈরি হয়। আর চাঁদের মাটিতে এর উপস্থিতি আছে মানে ধৈর্য ধরে পর্যবেক্ষণ চালিয়ে গেলে চাঁদ সৃষ্টির ইতিহাসও জানা যাবে। হয়তো সৌরজগতের অজানা রহস্যের কথাও জানা যেতে পারে। বিগ ব্যাং থিওরি-র মত নতুন কোন থিওরির সঙ্গে পরিচিত হতে পারে বিজ্ঞান।
তবে, অক্সিজেন বা সালফারের থেকেও চাঁদের মাটিতে হাইড্রোজেন থাকাটা বেশি জরুরী। যেটার খোঁজ এখনও জারি রেখেছে বিক্রম এবং প্রজ্ঞান। জানি, অবাক হচ্ছেন। অবাক হওয়াটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বিজ্ঞানকে আরও এগোতে গেলে হাইড্রোজেনটাই অমূল্য সম্পদ। বুঝিয়ে বলছি, শুনুন।
পৃথিবী থেকে চাঁদ, আর চাঁদ থেকে পৃথিবী- যাতায়াত তো এটুকুই নয়। ইসরো-র উদ্দেশ্য দেখব এবার মহাজগতটাকে। ব্রহ্মাণ্ডের দূরের গ্রহগুলোকেও চিনতে হবে। আর সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় ফুয়েলের যোগান দেবে চাঁদে উপস্থিত হাইড্রোজেন। পৃথিবী থেকে কোন মিশন সেট করা হলে মাঝ পথে ফুয়েল শেষ হয়ে যাওয়ার চিন্তা থাকবে না। প্রয়োজন পরলে চাঁদের থেকে রিফিল করে দূরের গ্রহে পারি দেওয়া সম্ভব হবে।
মাত্র এক সপ্তাহ হল চাঁদের মাটিতে সফট ল্যান্ডিং করেছে চন্দ্রযান-৩। ইতিহাস তৈরি করেছে ভারত। আর ল্যান্ডিং-এর পরই একের পর এক লক্ষ্যভেদ করছে রোভার প্রজ্ঞান। ঝড়ের গতিতে অচেনা চাঁদের সঙ্গে পরিচিত হচ্ছে পৃথিবী, নেপথ্যে ইসরো। তবে মিশন সফল নাকি অসফল সেটা সময়ই বলবে। এখন শুধু ডেটা কালেক্ট করার সময়। যত বেশি ডেটা কালেক্ট করা যাবে ততই সহজ হবে পরবর্তী লক্ষ্য ঠিক করা।
বিজনেস প্রাইম নিউজ
জীবন হোক অর্থবহ